কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো-১০টি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায়

প্রিয় পাঠক আপনি জানতে চান কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো। এ বিষয়ে আমি এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব।আসলে দিন যত যাচ্ছে ততই প্রযুক্তির উপরে মানুষের আস্থা বাড়ছে। মানুষ এখন সকল কাজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে করছে।এজন্য কম্পিউটার প্রয়োজন বর্তমানে কম্পিউটার অনেক বড় হওয়ার কারণে কম্পিউটারের চাইতে ল্যাপটপের দিকে মানুষের চাহিদা বেশি।
কোন-জেনারেশন-ল্যাপটপ-ভালো
এই জন্য ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে দেখে শুনে কিনতে হবে ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় কি সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি অবশ্যই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে ভালো ল্যাপটপ আপনার খুঁজে পেতে সহজ হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো

কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো।বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভরযোগে ল্যাপটপ যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।শিক্ষা দীক্ষা ফ্রিল্যান্সিং গ্রাফিক্স ডিজাইন ভিডিও এডিটিং ফটো এডিটিং সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, বিনোদন উপভোগ করার জন্য ভালো মানের ল্যাপটপ দরকার হয়। বিশেষ করে ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই ল্যাপটপের কনফিগার দেখতে হবে। যেমন ram rom মাদারবোর্ড এবং কোন জেনারেশনের এ সমস্ত ব্যাপারে জেনে তারপর ল্যাপটপ কিনতে হবে। যেহেতু আপনি কোন জেনারেশন ভালো জানেন না তাই আমি এই আর্টিকেলটি লিখেছি।

আর্টিকেলে আপনাকে জানিয়ে দেবো বর্তমান কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ ভালো। কারণ ল্যাপটপ বিভিন্ন দামে হয়ে থাকে যার ফলে কিছু কনফিগার কম বেশি হতে পা... যদি ল্যাপটপের সমস্ত কিছু পারফরম্যান্স ভালো নিতে চান তাহলে অবশ্যই দাম দিয়ে ল্যাপটপ কিনতে হবে। কম দামের ভিতরে ল্যাপটপ কিনলে সব কিছু এক মাপে পাবেন না। ল্যাপটপ ভালো চলে এসএসডি এবং প্রসেসর থাকার কারণে। এইজন্য অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার আগে প্রসেসর র‍্যাম রোম এসএসডি দেখে কিনতে হবে আপনার বাজেট কম হলেও এই দুইটা জিনিস অবশ্যই দেখবেন।

ল্যাপটপ প্রসেসর এর ক্ষেত্রে জেনারেশন বলতে বিশেষ করে বোঝানো হয়ে থাকে আপডেট যে ভার্সন গুলোকে যেমন  Intel Core i3 5th Gen, Core i5 10th Gen, Core i7 12th Gen। কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ ভালো বিশেষ করে প্রতি নতুন নতুন জেনারেশনের প্রসেসরে গতি এবং পাওয়ার আগের ল্যাপটপের চাইতে পারফরম্যান্স অনেক ভালো পাওয়া যায়। এজন্য যখন আপনি ল্যাপটপ কিনবেন সেই জেনারেশন এর ল্যাপটপ কিনবেন তাহলে অবশ্যই ভালো হবে। আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন।

কোন জেনারেশন এর ল্যাপটপ কেনা উচিত

কোন জেনারেশন এর ল্যাপটপ কেনা উচিত বিশেষ করে সেই ব্যাপারে আপনাকে জানাবো আপনি যেহেতু জানতে চেয়েছেন কোন জেনারেশনে ল্যাপটপ কিনলে ভালো হবে সকল কাজ করতে পারবেন। তাই আমি কোন জেনারেশন ল্যাপটপ দিয়ে কি ধরনের কাজ করতে পারবেন সেই বিষয় নিয়ে তার ধারাবাহিক নিয়ে নিচে আলোচনা করছি অবশ্যই আপনি এই ধারাবাহিক থেকে বুঝতে পারবেন যে আসলে কোন ল্যাপটপটা কিনলে ভালো হবে। নিচের পয়েন্ট গুলো পড়ুন আপনার কাঙ্খিত ল্যাপটপটি খুজে পেয়ে যাবেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য (বেসিক ইউজ) ঃ

যদি শুধু অনলাইনে ক্লাস করতে এবং ওয়েব ব্রাউজিং ওয়ার্ল্ড এক্সেল ব্যবহার করা বা youtube দেখার জন্য ল্যাপটপ খুঁজেন তাহলে 8th Gen i3 বা i5 প্রসেসর একটি ল্যাপটপে যথেষ্ট হবে আপনার।

সিং এবং অফিসের কাজের জন্যঃ

ফ্রিল্যান্সিং অথবা মাইক্রোসফট অফিস জুম মিটিং এমনকি ভার্চুয়ালি অ্যাসিস্ট্যান্ট বা লাইট গ্রাফিক্স কাজের জন্য 10th বা 11th Gen i5 প্রসেসরের ল্যাপটপ অনেক ভালো পারফরম্যান্স করে এই ল্যাপটপে ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ ও দ্রুত গতি পাওয়া যাবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংঃ

গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ভিডিও এডিটিং করতে Adobe Photoshop, Illustrator, Premiere Pro এর মতো সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। এইজন্য  Intel i7 বা AMD Ryzen 7, 10th Gen  বা তার উপরে জেনারেশন বেছে নেওয়া উচিত এতে কাজ করে শান্তি পাবেন এবং কাজের স্পিড অনেক বেশি থাকবে। কোন ল্যাগ করবে না।

গেমিং ও হাই পারফরম্যান্স ইউজারদের জন্য দরকারঃ

গেম খেলার জন্য ভারী সফটওয়্যার রান করার জন্য Intel 12th বা 13th Gen i7/i9 অথবা Ryzen 7/9 জেনারেশন বেছে নিয়া সবচাইতে ভালো হবে। এবং এর পাশাপাশি ডিডিকেট গ্রাফিক্স (NVIDIA/AMD) জরুরি।

ইন্টারনাল নাকি এএমডি কোনটি বেছে নিবেন

ইন্টারনেল নাকি এ এম ডি কোনটি বেছে নিবেন সেটা আপনার উপর নির্ভরশীল আপনি যে কাজের করবেন সে হিসেবে আপনি বেছে নিবেন। যেমন,
  • ইন্টার প্রসেসর গুলো স্থায়ী এবং ব্যাটারি লাইফ ভালো পারফরম্যান্স দেয়।
  • এএমডি রাইজান প্রসেসর গুলো একই দামে বেশি কোর ও থ্রেড দিয়ে থাকে ফলে ভিডিও এডিটিং ভালো হয়।

এখন কোন জেনারেশন সবচেয়ে আপডেট

কোন এখন কোন জেনারেশন সবচেয়ে আপডেট এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব অবশ্যই আপনি আপনার মূল্যবান ল্যাপটপ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং বাছাই করে কিনতে পারবেন। এই সম্পূর্ণ পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কাজ আপনি করতে চাচ্ছেন কোন কাজের জন্য কোন ল্যাপটপ আপনার জন্য প্রয়োজন। 2025 সালে শুরু হওয়া পর্যন্ত প্রসেসরে দুনিয়ার সবচেয়ে আপডেটেড জেনারেশন হিসেবে পরিচিত হচ্ছে Intel-এর 14th Gen এবং AMD-এর Ryzen 8000 সিরিজ।
কোন-জেনারেশন-ল্যাপটপ-ভালো
এই দুই কোম্পানি প্রতিযোগিতার সাথে প্রযুক্তিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আর তারা নতুন নতুন জেনারেশন আরো উন্নত টেকনোলজি যুক্ত করছে যাতে গ্রাহকের চাহিদা দিন দিন আরো বাড়ছে। Intel-এর 14th Gen এই প্রসেসরগুলো উন্নত স্পিড পাওয়া যায়। বিশেষ করে যারা গেমিং ভিডিও এডিটিং গ্রাফিক্স সফটওয়্যার এই সকল ভারি সফটওয়্যার নিয়ে যারা কাজ করতে চাচ্ছে তাদের জন্য উপযোগী। অন্যদিকে, AMD তাদের Ryzen 8000 সিরিজে Zen 5 আর্কিটেকচার এনেছে যা আগের চাইতে পারফরমেন্স অনেক ভালো। 
এই সিরিজের প্রসেসরগুলো গ্রাফিক্সের আই পারফরম্যান্স উন্নতি হয়েছে। মাদারবোর্ড ram গুলো বেশ ভালো। যাদের বাজেট বেশি তারা নিঃসন্দেহে এই জেনারেশন এর ল্যাপটপ নিতে পারেন। বাজেট কম থাকে তাহলে পুরনো জেনারেশন এর ল্যাপটপ কিনতে পারেন তারপর পারফরম্যান্স অনেক ভালো।

পরামর্শ দিলাম:

ব্যবহারকারীর ধরন সুপারিশকৃত জেনারেশন
সাধারণ ব্যবহার i3/i5 – 8th to 10th Gen
অফিস/ফ্রিল্যান্সিং i5 – 10th to 12th Gen
ডিজাইন/এডিটিং i7 – 11th Gen বা Ryzen 7
গেমিং i7/i9 – 12th Gen+, Ryzen 7/9

ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় 

ভালো ল্যাপটপ চেনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকে সেগুলো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন কোনটা আপনার জন্য প্রয়োজন এবং উপযুক্ত। নিচের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায় শেয়ার করলাম আপনি এখান থেকে খুব সহজে ভালো ল্যাপটপ চিনে নিতে পারবেন।
কোন-জেনারেশন-ল্যাপটপ-ভালো

১০টি ভালো ল্যাপটপ চেনার উপায়

প্রসেসর (Processor):

ল্যাপটপের Intel Core i5/i7 বা AMD Ryzen 5/7 হলে ভালো। নতুন জেনারেশন হলে আরও ভালো হয়। (যেমন 13th/14th Gen, Ryzen 7000/8000 সিরিজ)।

RAM (মেমোরি):

সাধারণ কাজের জন্য ৮GB ভালো হয়। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, গেমিং এর জন্য ১৬GB বা তার বেশি RAM হলে ভালো।

স্টোরেজ (Storage):

SSD থাকলে ল্যাপটপ অনেক দ্রুত কাজ করে। অন্তত ২৫৬GB SSD থাকা ভালো হয়। চাইলে সাথে HDD ও নিতে পারেন।

গ্রাফিক্স (Graphics Card):

গেমিং, ভিডিও এডিটিং বা ডিজাইনিং এর জন্য Dedicated Graphics (NVIDIA/AMD) থাকা উচিত। সাধারণ ব্যবহারে Integrated Graphics-ও চলবে ভালো।

ডিসপ্লে কোয়ালিটি (Display):

Full HD (1920x1080) রেজোলিউশন হলে চোখের জন্য ভালো কোন ক্ষতি হয় না। IPS প্যানেল থাকলে কালার অনেক সুন্দর দেখায় এবং চোখে যদি ঠিক থাকে।

ব্যাটারি ব্যাকআপ:

ভালো ল্যাপটপে ৬-১০ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ থাকা উচিত কারণ Ultrabook বা অফিস কাজের জন্য ব্যাটারি লাইফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয।।

বডি বিল্ড ও ওজন:

মেটাল বডি হলে টেকসই হয় কোন কিছুতে আঘাত লাগলে ক্ষতি হয় না।আর ওজন ১.৫-২ কেজির মধ্যে হলে সহজে বহনযোগ্য হবে।

পোর্ট ও কানেক্টিভিটি:

USB-C, USB 3.0, HDMI, Wi-Fi 6, Bluetooth 5.0 থাকলে ভালো। এসব থাকলে ভবিষ্যতে ঝামেলা কম পোয়াতে হবে। যে কোন কাজ সহজে করতে পারবেন।

কীবোর্ড ও টাচপ্যাড:

টাইপিংয়ের জন্য কীবোর্ড ভালো হতে হবে। Backlit কীবোর্ড থাকলে অন্ধকারেও কাজ করা যায়। এজন্য ভালো করে দেখে নিতে হবে।

ব্র্যান্ড ও ওয়ারেন্টি:

Dell, HP, Lenovo, ASUS, Acer – এগুলো বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড। কমপক্ষে ১ বছরের ওয়ারেন্টি থাকা উচিত। এজন্য ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্য ওয়ারেন্টির বিষয়টা দেখে শুনে নিবেন।

লেখকের শেষ কথাঃ কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো

কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো অবশ্যই ল্যাপটপ কেনার সময় শুধুমাত্র জেনারেশন টা দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া আমার মতে উচিত। আপনার বাজেটও কাজের ধরন সঠিক কনফিগার বেছে নেয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক কনফিগার ল্যাপটপ যদি বেঁচে না নিতে পারেন। তাহলে আপনার কাজ করতে অসুবিধা হবে সুন্দরভাবে মনের মত করে কাজ করতে পারবে না।এজন্য অবশ্যই ভালো জেনারেশন এর ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করবেন। 

দিন যতই যাচ্ছে ততই ল্যাপটপের জেনারেশন আরো উন্নত করছে। অবশ্যই আপনি যেই সময় ল্যাপটপ কিনতে চাইবেন।সে বর্তমান সময়ে যে ল্যাপটপটা চলছে সেটা দেখে কিনবেন তাহলে আপনার ভালো হবে। কোন জেনারেশন ল্যাপটপ ভালো এই বিষয়ে এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।হয়তোবা আপনি আর্টিকেলের মধ্যে থেকে সঠিক সাজেশন পেয়েছেন। এতক্ষণ এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url