লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন দেখে যত্ন শুরু করুন

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন এটি শুনেই মনে হতে পারে, সত্যিই কি মাত্র ৭ দিনেই চুল লম্বা করা সম্ভব? উত্তর হলো হ্যাঁ, সঠিক যত্ন ও নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করা সম্ভব। চুলের বৃদ্ধি ধীরগতির হলেও যদি প্রতিদিন সঠিক পদ্ধতিতে পরিচর্যা করা হয়। তাহলে চুল শক্তিশালী, ঘন ও সুস্থ হয়ে উঠবে।

লম্বা-চুল-পাওয়ার-জন্য-৭-দিনের-রুটিন

এই রুটিনে এমন কিছু কার্যকরী টিপস থাকবে, যা চুলের গোড়া মজবুত করবে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে এবং চুল পড়া কমিয়ে দেবে। তাহলে দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন, তাহলে জানতে পারবেন কীভাবে মাত্র সাত দিনে চুলের যত্নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনা সম্ভব।

পোস্ট সূচিপত্রঃ লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন  

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন ফলো করলে আপনি অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ সাত দিনের মধ্যেই আপনার চুলের পরিবর্তন আনতে পারবেন। চুলের পরিবর্তন এমনিতেই হয় না চুলের প্রতি পরিশ্রম করতে হয়। চুলের নিয়মিত যত্ন না করলে চুল সুন্দর অর্থাৎ মজবুত লম্বা হবেনা। চুলের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবেও করা ভালো।বাইরের প্রোডাক্ট চুলের জন্য ব্যবহার না করায় ভালো। কারণ সেসব প্রোডাক্ট সে অনেক ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত থাকে যার, কারণে চুলের ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু বাজারে ভালো প্রোডাক্টস আছে সে প্রোজেক্ট গুলো আপনাকে চিনতে হবে।

আর প্রোডাক্টস এর গায়ে দেখতে হবে কোন কোম্পানি এবং প্রোডাক্টস কি কি ভিটামিন দিয়ে তৈরি এটা জেনে তারপর সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। তাহলে আপনার চুলের কোন ক্ষতি হবে না।তাছাড়া চুলের বৃদ্ধি দ্রুত করার জন্য নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। অনেকেই দ্রুত চুল লম্বা করতে চান, কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পান না। চুলের যত্নে তেল, শ্যাম্পু, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে মাত্র ৭ দিনেই চুলের স্বাস্থ্য ভালো করা সম্ভব। নিচে ৭ দিনের একটি কার্যকর রুটিন দেওয়া হলো, যা অনুসরণ করলে চুল মজবুত ও লম্বা হবে।  

  • ১ম দিন: প্রথম দিনে চুলের যত্ন শুরু করুন গরম তেল ম্যাসাজ দিয়ে। নারকেল, অলিভ বা আমলকী তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।  
  • ২য় দিন: শ্যাম্পু করার জন্য হার্বাল বা সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পুর পর অবশ্যই ভালো মানের কন্ডিশনার লাগান, যাতে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে।  
  • ৩য় দিন: চুলের গভীর যত্নের জন্য ডিপ কন্ডিশনিং করুন। ডিম, দই বা মধুর হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন, যা চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টি যোগাবে এবং চুল পড়া কমাবে।  
  • ৪র্থ দিন: চুলের গোড়া মজবুত করার জন্য পেঁয়াজের রস ব্যবহার করুন। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া কমায়।  
  • ৫ম দিন: বায়োটিন ও প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খান। যেমন—ডিম, বাদাম, দুধ ও শাকসবজি, যা চুলের গঠন শক্তিশালী করে এবং দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।  
  • ৬ষ্ঠ দিন: রাতে ঘুমানোর আগে সিল্ক বা সাটিনের বালিশ কভার ব্যবহার করুন, যাতে চুলের ঘর্ষণ কম হয় এবং রুক্ষতা এড়ানো যায়। পাশাপাশি স্ট্রেস কমানোর জন্য ধ্যান বা হালকা ব্যায়াম করতে পারেন।  
  • ৭ম দিন: সপ্তাহের শেষে একটি চুল ট্রিম করুন, যাতে চুলের ডগা ফাটা রোধ হয়। গরম পানি এড়িয়ে চলুন এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন, যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে।  

এই রুটিন অনুসরণ করলে মাত্র ৭ দিনেই চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে এবং নিয়মিত করলে দ্রুত লম্বা ও ঘন চুল পাওয়া সম্ভব।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় 

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন ফলো করতে হবে। তাছাড়া চুল লম্বা করা একদিনের বিষয় নয়, তবে সঠিক পরিচর্যা করলে মাত্র ৭ দিনের মধ্যেই চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি লক্ষণীয়ভাবে উন্নত করা সম্ভব। চুলের যত্নে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ, পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত পানি পান এবং কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে হবে। প্রথম দিন থেকে চুলের যত্ন শুরু করতে হবে গরম তেল ম্যাসাজের মাধ্যমে, যা রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে। দ্বিতীয় দিনে সালফেট-মুক্ত শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে, যাতে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে।

তৃতীয় দিনে ডিপ কন্ডিশনিং করতে পারেন, যেমন—ডিম, দই বা মধুর হেয়ার মাস্ক, যা চুলের গভীর পুষ্টি জোগায়। চতুর্থ দিনে পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে চুল পড়া কমবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। পঞ্চম দিনে চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে—ডিম, দুধ, বাদাম, শাকসবজি ও প্রচুর পানি পান করা উচিত। ষষ্ঠ দিনে স্ট্রেস কমানোর জন্য ধ্যান বা হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে, কারণ মানসিক চাপ চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে। 

আরোও পড়ুনঃ লেবু দিয়ে মুখের কালো দাগ দূর করার ৯টি উপায় জেনে নিন

সপ্তম দিনে চুলের ডগা ট্রিম করা উচিত, যাতে চুল ফাটা কমে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল বা হিট ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এটি চুলের গঠন দুর্বল করে দিতে পারে। রাতে সিল্ক বা সাটিনের বালিশ কভার ব্যবহার করলে চুলের ঘর্ষণ কম হয়, ফলে চুল ভাঙার সম্ভাবনা কমে। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুল মজবুত হয় এবং চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এছাড়া, চুল শক্ত করে না বাঁধাই ভালো, কারণ এটি চুলের গোড়ায় চাপ ফেলে এবং চুল পড়া বাড়ায়।

নিয়মিত হালকা আঁচড়ানো ও পরিষ্কার চিরুনি ব্যবহার করলে চুলের বৃদ্ধি আরও দ্রুত হয়। প্রচুর পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যায়, যা চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই রুটিন অনুসরণ করলে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই চুলের স্বাস্থ্য ভালো হবে এবং নিয়মিত চর্চা করলে চুল দ্রুত লম্বা হবে।

চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার উপায়

চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার উপায় জানলে আপনিও আপনার চুল শক্তিশালী মজবুত ও লম্বা করতে পারবেন।সে উপায় গুলো আপনি জেনে নিন।চুল তাড়াতাড়ি লম্বা করার জন্য নিয়মিত যত্ন নিতে হয়। প্রথমত, চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে গরম তেল ম্যাসাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারকেল বা অলিভ তেল গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন, যা রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে চুলের গঠনে সাহায্য করে। সপ্তাহে একদিন ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, যেমন ডিম, মধু বা দইয়ের মিশ্রণ। এতে চুল পুষ্টি পেয়ে মজবুত হয়।

শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন ডিম, বাদাম ও শাকসবজি। পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকে লাগালে চুলের বৃদ্ধির গতি বাড়ে। পানি বেশি করে পান করুন, কারণ চুলের সুস্থতার জন্য শরীরের অভ্যন্তরীণ পুষ্টি খুবই জরুরি। স্ট্রেস কমাতে ধ্যান বা ব্যায়াম করুন, কারণ মানসিক চাপ চুল পড়ার প্রধান কারণ। সিল্ক বা সাটিনের বালিশ কভার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি কম হয়। 

লম্বা-চুল-পাওয়ার-জন্য-৭-দিনের-রুটিন

গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ গরম পানি চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক করে দেয়। নিয়মিত চুল ট্রিম করলে ডগা ফাটা রোধ হয়, যা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায়। অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন, কারণ এতে চুলের গঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল শক্ত করে না বাঁধাই ভালো, কারণ এতে চুল ভেঙে যেতে পারে। রাতের বেলায় অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে। এসব নিয়মিত চর্চা করলে চুল দ্রুত লম্বা ও স্বাস্থ্যবান হবে।

চুল লম্বা করার তেলের নাম

চুল লম্বা করার তেলের নাম আপনার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তেল ব্যবহার করলে আপনার চুল সাত দিনের মধ্যেই পরিবর্তন দেখতে পারবেন।এজন্য নিচে কিছু তেলের নাম উল্লেখ করা হলো যা চুলের বৃদ্ধি মজবুত করতে সাহায্য করে। প্রতিটি তেলের রয়েছে তার নিজস্ব বিশেষ গুণ, যা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।নিয়মিত ব্যবহারে এই তেলগুলো চুলকে মজবুত, উজ্জ্বল এবং দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করবে। 

বিশেষ করে নারকেল তেল এবং অমলকি তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এসব তেলের সাথে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমন মধু, অ্যালোভেরা বা ব্রাহ্মী তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও দ্রুত ফল পাওয়া যায়। চুলের জন্য সঠিক তেল নির্বাচন এবং নিয়মিত ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি উন্নত হয়।

  • নারকেল তেল (Coconut Oil) – চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং দ্রুত বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।
  • অলিভ তেল (Olive Oil) – চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং সিল্কি ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
  • অমলকি তেল (Amla Oil) – চুলের বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী এবং চুল পড়া কমায়।
  • ব্রাহ্মী তেল (Brahmi Oil) – চুলের শিকড় শক্তিশালী করে এবং চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করে।
  • মেহেন্দি তেল (Henna Oil) – চুলের পুষ্টি জোগায় এবং সান্দ্রতা ও রঙ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  • জোজোবা তেল (Jojoba Oil) – চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে মসৃণ করে।
  • আলমন্ড তেল (Almond Oil) – চুলকে নরম করে এবং স্ক্যাল্পে পুষ্টি প্রদান করে।
  • লবঙ্গ তেল (Clove Oil) – চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী এবং রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
  • চন্দন তেল (Sandalwood Oil) – চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং শীতলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করার উপায়

সাত দিনে বিশ ইঞ্চি চুল লম্বা করা বাস্তবে একটু কঠিন। কিন্তু সঠিক যত্ন ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে দ্রুত চুলের বৃদ্ধি করা সম্ভব। প্রথমে চুলের বৃদ্ধি করতে গরম তেল ম্যাসাজ করুন। নারকেল, অলিভ বা অমলকী তেল ব্যবহার করলে চুলের শিকড় শক্তিশালী হয়। চুলে তেল লাগানোর পর হালকা গরম তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে রাখলে এটি আরও ভালো কাজ করে। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।যা চুল নরম এবং মসৃণ রাখবে। সপ্তাহে একদিন ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক ব্যবহার করুন, যেমন—ডিম, মধু ও দইয়ের মিশ্রণ, যা চুলের পুষ্টি বাড়ায়।
পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে চুলের শিকড় মজবুত হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। প্রোটিন, বায়োটিন ও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন—ডিম, বাদাম, সাইট্রাস ফল এবং শাকসবজি। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, কারণ শরীরের অভ্যন্তরীণ পুষ্টি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। চুলের জন্য স্ট্রেস খুবই খারাপ, তাই ধ্যান বা যোগব্যায়াম করতে পারেন। রাতে সিল্ক বা সাটিনের বালিশ কভার ব্যবহার করলে চুলের ক্ষতি কম হয়। 

অতিরিক্ত তাপ বা হিট স্টাইলিং থেকে বিরত থাকুন, কারণ এটি চুলের স্বাস্থ্য নষ্ট করে। চুল শক্ত করে বাঁধবেন না, এতে চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুলের গঠন ভালো রাখতে প্রতি ২-৩ মাসে চুলের ডগা ট্রিম করতে ভুলবেন না। এগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে চুলের বৃদ্ধি দ্রুত হবে, এবং সাত দিনে দৃশ্যমান ফল পাওয়া যেতে পারে।

চুল লম্বা ও ঘন করার ঘরোয়া উপায়

চুল লম্বা ও ঘন করার ঘরোয়া উপায় উপায় প্রত্যেকটা মানুষেরই জানা দরকার। যেহেতু আপনি চুল লম্বা ও ঘন করার সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি বলব আপনি আপনার বাসায় বসে ঘরোয়া উপায়ে। চুলের যত্নে বিভিন্ন উৎপাদন সংযুক্ত করে পেস্ট বানান, এবং সেই পেস্ট সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন। তাহলে আপনার চুলের সকল ধরনের সমস্যা সমাধান এবং চুল দ্রুত লম্বা ও শক্তিশালী মজবুত হবে এবং চুলের পরিপূর্ণ সৌন্দর্য ফিরে আসবে।

প্রত্যেকটা মানুষের কাছেই চুল তার অমূল্য সম্পদ। চুল যদি দেখতে শুনতে ভালো না হয় তাহলে সে লোকসমাজের মধ্যে নিজেকে ছোট মনে হয়। এজন্য চুলের যত্ন নেওয়া অবশ্যই কর্তব্য। চুল ও ঘন করার জন্য কিছু সহজ এবং প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় রয়েছে, যেগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হয় এবং এটি দ্রুত লম্বা ও ঘন হতে সাহায্য করে। নিচে কিছু কার্যকর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলো:

  • নারকেল তেল ও আমলকী তেল:নারকেল তেল এবং আমলকী তেল মিশিয়ে চুলে লাগান। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে।
  • পেঁয়াজের রস:পেঁয়াজের রস চুলের শিকড়ে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার, যা চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  • ডিম ও দইয়ের হেয়ার মাস্ক:ডিম এবং দই মিশিয়ে চুলে লাগান। এটি চুলে প্রোটিন এবং পুষ্টি দেয়, ফলে চুল ঘন এবং লম্বা হয়।
  • অ্যালোভেরা জেল:অ্যালোভেরা জেল চুলে লাগালে এটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং চুলকে মসৃণ করে। এটি চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে।
  • মেথি:মেথির বীজ পিষে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান। মেথি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং চুল পড়া কমায়, ফলে চুল ঘন হয়।
  • হেনা (মেহেন্দি):হেনা চুলে লাগানো চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং এটি প্রাকৃতিক উপায়ে চুলকে শক্তিশালী করে।
  • ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল:সাইট্রাস ফল, যেমন কমলা, লেবু, আমলকি ইত্যাদি খান। এগুলো চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
  • ব্রাহ্মী তেল:ব্রাহ্মী তেল চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে। নিয়মিত ব্যবহারে এটি চুলের ঘনত্ব বাড়ায়।
  • মধু ও তেল: মধু এবং তেল মিশিয়ে চুলে লাগানোর মাধ্যমে চুলের শিকড় মজবুত হয় এবং চুল নরম ও মসৃণ হয়ে ওঠে।
  • ঘরে তৈরি হেয়ার: স্প্রেলবঙ্গ তেল, ল্যাভেন্ডার তেল ও গরম পানি দিয়ে একটি স্প্রে তৈরি করে চুলে ব্যবহার করুন। এটি চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং চুলকে সুগন্ধি করে।

১ মাসে চুল লম্বা করার উপায়

১ মাসে চুল লম্বা করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, যা সঠিক যত্ন নিলে এক মাসের মধ্যেই চুলের সৌন্দর্য ফিরে আসবে এবং চুল লম্বা মজবুত হবে।মাথার ত্বক সুস্থ ও পুষ্টিযুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত তেল মালিশ করা, যেমন নারকেল তেল বা বাদামের তেল, রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে এবং চুলের গোঁড়া উজ্জীবিত করে। পানি পান করার পরিমাণ বাড়ানোও চুলের স্বাস্থ্য ও বৃদ্ধি জন্য প্রয়োজনীয়। সপ্তাহে অন্তত একবার চুল গভীরভাবে কন্ডিশনিং করুন, যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং শুষ্কতা প্রতিরোধ হয়।

চুলের সুরক্ষার জন্য অতিরিক্ত তাপ বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, যা চুল ভেঙে যেতে পারে। যদি স্টাইলিং করতে হয়, তাহলে হিট প্রোটেক্টেন্ট ব্যবহার করুন। প্রতি ৪-৬ সপ্তাহ পরপর চুলের ছেঁড়াপড়া অংশ কেটে ফেলুন, যাতে চুলের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত না হয়। মানসিক চাপ কমানোও চুলের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয়, কারণ অতিরিক্ত স্ট্রেস চুল পড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং পানি পান করা শরীরকে হাইড্রেট রাখে, যা চুলের বৃদ্ধি সহায়ক।

লম্বা-চুল-পাওয়ার-জন্য-৭-দিনের-রুটিন

মূল্যবান পয়েন্টসমূহ:

  • নিয়মিত তেল মালিশ করুন এবং স্কাল্প ম্যাসাজ করুন রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য।
  • সপ্তাহে একবার গভীর কন্ডিশনিং করুন যাতে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
  • পুষ্টিকর খাবার খান, যেমন স্পিনাচ, স্যালমন, বাদাম, এবং বেরি।
  • অতিরিক্ত হিট স্টাইলিং বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার না করে চুল সুরক্ষা করুন।
  • ৪-৬ সপ্তাহ পর পর চুল ছেঁড়াপড়া অংশ কাটুন।
  • পর্যাপ্ত পানি পান এবং ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন।
  • মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

লেখক এর মন্তব্যঃ লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন মেনটেন করা উচিত।সুন্দর ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ধৈর্য ও নিয়মিত যত্নের প্রয়োজন। এই ৭ দিনের রুটিন অনুসরণ করলে চুলের গুণগত মান বাড়বে এবং চুলের বৃদ্ধির হারও ত্বরান্বিত হবে। তবে, চুলের যত্ন শুধু বাহ্যিক পরিচর্যায় সীমাবদ্ধ না রেখে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত বিশ্রামের দিকেও নজর দিতে হবে। নিয়মিত যত্ন নিলে খুব শিগগিরই আপনি স্বাস্থ্যকর ও লম্বা চুলের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন।

লম্বা চুল পাওয়ার জন্য ৭ দিনের রুটিন এই আর্টিকেল থেকে হয়তো বা আপনি লম্বা চুল সাত দিনের মধ্যে পাওয়ার জন্য এবং চুলের যত্নে কি কি ব্যবহার করতে হবে কি করা যাবে না।এই সমস্ত ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url