৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ- ৩০টি মূল্যবান ফজিলত

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হবে। সারা বিশ্বের মুসলমানদের একটি পবিত্র মাস হচ্ছে রমজান মাস। এই মাসে মুসলমানদের গোনা মাফ করে দেয় মহান আল্লাহতালা। রমজান মাসে যে সওয়াব বরকত পাওয়া যায় সারা মাসে ইবাদত বন্দি করেও এই  সওয়াব পাওয়া যায় না। রমজান মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত লাইলাতুল কদর।

৩০-রোজার-ফজিলত-দলিল-সহ

রমজান মাসে মহান আল্লাহতালা গুনাহ লিখা এবং কবরে আজাব দেওয়া থেকে বন্ধ রাখে। ৩০ টি রোজার ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব এবং রোজার মাসে কিভাবে আল্লাহ শুকরিয়া আদায় করবেন এবং কিভাবে নামাজ কায়েম করবেন এবং ইফতার কিভাবে করবেন। কিভাবে রোজার মাসে চলাফেরা করবেন এ সমস্ত বিষয় নিয়ে আজকের আর্টিকেল। আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ধৈর্য ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন তাহলে রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হলো

৩০রোজার ফজিলত দলিল সহ

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা করব। রমজান মাস এমন  একটি মাস এ মাসে সারা মাসের চেয়ে উত্তম একটি মাস । এ মাসে মহান আল্লাহতালা ঈমানদারদের ধৈর্য পরীক্ষা মাধ্যমে বান্দার সওয়াব এবং সারা মাস যে পাপ করেছে। সে পাপ নেকিতে ভরে দেয়। ত্রিশটি রোজা রাখার পর বান্দাকে ফুলের মত পবিত্র গুনা ব্যতীত নিষ্পাপ বাচ্চার মত করে দেয়। এজন্য রমজান মাসে  অবশ্যই.৩০টি রোজা রাখতে হবে। রমজান মাসের যে নিয়ম কারণগুলো আছে অবশ্যই মেনে চলতে হবে। 

আরোও পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর মধু খাওয়ার নিয়ম জেনে নিন

রমজান মাস মানেই বেশি বেশি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানানো। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহর কাছে ধৈর্য ধারণ করা। এই মাসে যত আল্লার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া যায়। যত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাবেন আল্লাহ তা'আলা তত আপনার ক্ষমা করে দিবে এবং নেকি প্রদান করবে। রোজা এমনই একটি ইবাদত। সকল ইবাদতের মধ্যে ভিন্ন। পবিত্র অর্থাৎ পাপমুক্ত হওয়ার জন্য রোজা  গুরুত্বপূর্ণ। পবিত্র কোরআনে ৩০ টি রোজার ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত আছে। পবিত্র কোরআনের ভিত্তিতে ৩০ টি রোজা ফজিলত জানার চেষ্টা করবো।

৩০ রোজার ফজিলত মূল আলোচনা

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আলোচনা করছি। রমজান মাস ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ রুকনের সম্পর্ক রয়েছে। এই মাসে সিয়াম পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব অর্থাৎ ফরজ। যেমন জিলহজ মাসে হজ হওয়ার কারণে সেই মাসের মর্যাদা বেড়েছে তেমনি রমজান মাসে  রোজা হওয়ার কারণে মাসের মর্যাদা বেড়েছে। মহান আল্লাহতালা বলেন " হে মুমিনগণ তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পরবর্তী দের উপর যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো "

(সূরা বাকারাঃ১ ৮৩)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে সিয়াম একটি। সিয়াম জান্নাত পাওয়ার একটি মাধ্যম।  হাদিসে এসেছে যে আল্লাহতালা ও তাঁর রাসূলের প্রতি যে ঈমান আনলো সালাত কায়েম করল যাকাত আদায় করল সিয়াম পালন রমজান মাসে করলো।  আল্লাহর তালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে (সহীহ বুখারী)।

৩০টি ফজিলত হলোঃ

  • ১ম রোজার ফজিলত- রমজানের প্রথম রোজায় ফজিলতের কথা বলা হয়েছে যে রোজাদারকে নিষ্পাপ নবজাতকের মত করে দেয়া হয়। অর্থাৎ সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।
  • ২ তম রোজার ফজিলত-দ্বিতীয় রোজার ফজিলতে বলা আছে রোজাদারের মা-বাবা জীবনে যত প্রকার গোনা করেছে সব গুনা মাফ করে দেবে মহান আল্লাহতালা।
  • ৩তম রোজার ফজিলত- একজন ফেরেশতা আল্লাহর কাছে রোজাদারের জন্য ক্ষমার ঘোষণা পাঠায়।
  • ৪ তম রোজার ফজিলত-রোজাদারকে আসমানী চার কিতাবের বর্ণের পরিমাণের সওয়াব প্রদান করে।
  • ৫ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারকে মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সওয়াব  দেওয়া হয়।
  • ৬ তম রোজার ফজিলত- ফেরেশতাদের সাথে ৭তম আকাশে অবস্থিত বাইতুল মামূর তাওয়াফের সওয়াব প্রদান করা হয়।
  • ৭ তম রোজার ফজিলত- ফেরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আঃ সালাম এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
  • ৮ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারের উপর হযরত ইব্রাহিম আঃ সালাম এর মত রহমত বর্ষিত হয়।
  • ৯ তম রোজার ফজিলত-নবী-রাসূলদের সাথে দাঁড়িয়ে ইবাদত করার সমান সওয়াব দেওয়া হয়।
  • ১০ তম রোজার ফজিলত-রোজাদারকে  দুজাহানের কল্যাণ দান করা হয়।
  • ১১ তম রোজার  ফজিলত- রোজাদারের মৃত্যু নিষ্পাপ নবজাতকের মত নিশ্চিত হয়।
  • ১২ তম রোজার ফজিলত-হাশরের ময়দানে অর্থাৎ কিয়ামতের ময়দানে রোজাদারের চেহারা চাঁদের মত সুন্দর এবং উজ্জ্বল করা হবে।
  • ১৩ তম রোজার ফজিলত- কিয়ামতের ময়দানে সকল প্রকার বিপদ থেকে রোজাদারকে হেফাজতে রাখা হবে।
  • ১৪ তম রোজার ফজিলত- কিয়ামতের ময়দানে হিসাব নিকাশ রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য সহজ করা হবে।
  • ১৫ তম রোজার ফজিলত-সমস্ত ফেরেশতারা রোজাদার দের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে।
  • ১৬ তম রোজার ফজিলত-রোজাদারকে জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি থেকে মুক্ত এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবে।
  • ১৭ তম রোজার ফজিলত- একদিনের নবী-রাসূলগণের সমান সওয়াব দেওয়া হবে।
  • ১৮ তম রোজার ফজিলত-রোজাদার এবং রোজাদারের মা-বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্ট সংবাদ দেওয়া হয়।
  • ১৯ তম রোজার ফজিলত- পৃথিবীর সকল পাথর কংকর টিলা টংকর থেকে শুরু করে সবাই রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে।
  • ২০তম রোজার ফজিলত- আল্লাহর পথে জীবন দেওয়া শহীদদের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
  • ২১ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারদের জন্য জান্নাতে সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদ তৈরি করা হয়।
  • ২২ তম রোজার ফজিলত- হাশরের ময়দানে সকল প্রকার চিন্তা টেনশন থেকে মুক্ত করা হয়।
  • ২৩ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারদের জন্য জান্নাতে সুন্দর একটি শহর তৈরি করা হবে।
  • ২৪ তম রোজার ফজিলত- যেকোনো ২৪ টি রোজাদারের দোয়া কবুল করা হয়।
  • ২৫ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারের কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হয়।
  • ২৬ তম রোজার ফজিলত- রোজাদারদের ৪০ বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়।
  • ২৭ তম রোজার ফজিলত- পুলসিরাত খুব সহজে পার করে দেয়া হয়।
  • ২৮ তম রোজার ফজিলত- জান্নাতের নেয়ামত রোজাদারদের জন্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।
  • ২৯ তম রোজার ফজিলত-  ১০০০ কবুল হজের সওয়াব প্রধান করে
  • ৩০ তম রোজার ফজিলত- পুরো রমজানের ফজিলত দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়।

রমজান মাসের বরকত সম্পর্কে জেনে নিন দ্বিগুন

রমজান মাস ইবাদতের শ্রেষ্ঠ একটি মাস এই মাসে ইবাদতের মূল্য বেশি। এই মাসে আল্লাহতালা নেক আমল দ্বিগুন বৃদ্ধি করে দেন এবং কল্যাণ দান করে। রমজান মাসে মহাগ্রস্ত পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছে। যার জন্য রমজান মাস বরকতের মাস। এই মাসের ওসিলায় মহান আল্লাহতালা রোজাদারদের পুরস্কার দান করবেন । রমজান মাস রহমত মাগফিরাত এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির মাস। রমজান মাসের মর্যাদা ও ফজিলত বরকত ব্যাপারে অনেক হাদিস এসেছে। যেমন সহি বুখারী ও মুসলিমে আবু হুরায়রা  রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। 

(যখন রমজান মাস আগমন করে তখন জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয় জাহান্নামের দরজার বন্ধ করে দেয়া হয়। এবং শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখা হয়)। রমজান মাসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে জীবনের যত গুনাহ করেছেন সব গুনাহ আল্লাহতালা মাফ করে দেন। জন্য এই মাসে বেশি বেশি করে আল্লাহর কাছে বরকত চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আল্লাহতালা নিশ্চয়ই ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। রমজান মাসের পাঁচটি বরকত সম্পর্কে তুলে ধরছি। যেমনঃ
  • মহান আল্লাহতালা কাছে রোজা পালনকারীর ব্যক্তির মুখের না খাওয়া জনিত গন্ধ মিসকের সুগন্ধ থেকেও উত্তম হয়।
  • ইফতার করা আগ পর্যন্ত ফেরেস্তাগন মহান আল্লাহতালার কাছে রোজাদারের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে।
  • আল্লাহতালা প্রতিদিন রোজাদার ব্যক্তির জন্য তার জান্নাত কে সুন্দর সুগন্ধ যুক্ত করে গড়ে তোলে আল্লাহ তা'আলা বলেন আমার নেককার বান্দাগণ অনেক কষ্ট স্বীকার করে আমার কাছে আসছে।
  • রমজান মাসে শয়তানদেরকে শৃঙ্খলা বদ্ধ রাখা হয় যার ফলে অন্য মাসেও শয়তান মানুষকে বিভ্রান্তি খারাপ পথে নিয়ে যেতে পারে না। 
  • রমজানের শেষ রাতে কথার অর্থাৎ শেষ রজনীতে রোজা পালনকারী কে আল্লাহতালা ক্ষমা করে দেয় এবং জীবনে যত গুনাহ করেছে সব গুনাহ নেকিতে  পূরণ করে দেয়।

রমজান মাসে রোজায় থেকে কিভাবে চলতে হবে

রমজান মাসে রোজায় থেকে কিভাবে চলতে হবে এটা হয়তো বা অনেকে জানতে চাই। রোজার মাস হচ্ছে প্রত্যেক মুসলমানের পাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার মাস। এই মাসে আল্লাহ তায়ালা সকল শয়তানকে একটি সীমাবদ্ধ রেখার মধ্যে রাখে। যার কারনে এ মাসে পাপের হিসাব নেওয়া হয় না। রমজান মাস আসা মানে রহমতের দুয়ার খুলে যাওয়া। এ মাসে চলতে ফিরতে সব সময় আল্লাহর কাছে মাগফিরাত কামনা করতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়তে হবে। এ মাসের কোনো ইবাদত করার সীমাবদ্ধ নয়।

যত ইবাদত করতে পারেন করবেন। এই মাসে আল্লাহর তালা  সওয়াব দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। জীবনে যত গুনাহ করেছেন গুনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। আল্লাহ সেই গুনাহের বদলে নেকীতে ভরপুর করে দেবে। যদি পাহাড় সমান গুনাহ করে থাকেন সে পাহাড় সমান গোনাহ নেকিতে পূরণ করে দেবে। রোজায় থেকে নম্র ভদ্র ভাবে চলাফেরা করতে হবে। কোন খারাপ মন্তব্য মনের ভেতর গাধা যাবে না। কাউকে গালি মন্দ পরের সম্পদ আত্মসমর্পণ চুরি ডাকাতি ঘুষ রাহাজানি করা যাবে না। সবার সাথে ভালো করে কথাবার্তা বলতে হবে। 

যতটুক জানেন দিনে শিক্ষা ছরিয়ে দিবেন মানুষের মাঝে। যে রোজায় থাকে না তাকে রোজায় থাকার জন্য ভালোভাবে বোঝাবেন। এবং আপনার যদি সামর্থ্য থাকে একজন গরিব অসহায় রোজায় থাকা ব্যক্তিকে ইফতার করার সুযোগ করে দিবেন এবং অসহায় গরিব মিসকিনদের সাহায্যে সহযোগিতা করবে। এবং কোরআন তেলোয়াত করবেন। 

যদি কোরআন পড়তে না জানেন অবশ্যই  শিখবেন এই মাসে কোরআন তেলাওয়াতের অনেক মূল্য। যদি আপনি কোরান শিখতে শিখতে মারা যান। তাহলে কোরআন শিখার ওসিলাতে আল্লাহতালা আপনাকে মাফ করে দিবে। এর বিনিময়ে আল্লাহতালা জান্নাতে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান দান করবেন।

রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর

রমজান মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সওয়াবের রাত হচ্ছে লাইলাতুল কদর। এই রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম( সূরা কদর ৪ নাম্বার পৃষ্ঠ)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বলেছেন যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াব পাওয়ার আশায় ইবাদত করবে। তাকে পূর্বে সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে (সহি আল বুখারী ৩৫ পৃষ্ঠা)। লাইলাতুল কদর এই রাতটি পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।রমজান মাসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য সময়ের তুলনায় রমজানের শেষ দশ দিন অধিকহারে ইবাদত করতেন। 

লাইলাতুল কদর এই রাত প্রত্যেক মুসলমানের গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এ রাতে মহান আল্লাহতালা মুমিনদের ডাকে সারাদেন। এ রাতে মহান আল্লাহতালা মুমিনদের মনের আশা আশংকা পূরণ করে। আল্লাহ তাআলার কাছে যা চাইবেন তাই আপনাকে দিবে। চাওয়ার মত করে চাইতে হবে। অবশ্যই চাওয়ার মতো চাইলে আল্লাহ তায়ালা আপনার মনের আশা পূরণ করে দেবে। এ রাতে বেশি বেশি এবাদত করতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং আল্লাহর কাছে রহমত বরকত চাইতে হবে। 

ইফতার যেভাবে করবেন জেনে নিন

ইফতার যেভাবে করবেন এটা সবাই জানা দরকার। রোজায় থেকে ইফতার করায় মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করা হয় অর্থাৎ রোজা সম্পূর্ণ পূরণ করা হয়। সারাদিন উপোস থাকার পরে ইফতার করায় আনন্দটা অন্যর রকম। ইফতার করতে হবে অবশ্যই সময় হওয়ার সাথে সাথে। ইফতার করার সময় অবশ্যই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন ক্ষমা চাইবেন রহমত চাইবেন। ইফতার সামনে রেখে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে সে দোয়া খুব দ্রুত কবুল হয়। হাদিসে বর্ণিত যে ব্যক্তি সিয়াম পালন করবে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। খেজুর না পেলে পানি দিয়ে ইফতার করবে কেননা পানি হল অধিক পবিত্র (সুনান আবু দাঊদঃ২৩৫৭ সহীহ)।

লেখক এর শেষ কথাঃ ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ

৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি। আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন রোজার গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে। রমজান মাসে আল্লাহতালা মুসলমানদের সওয়াব দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। রমজান মাসে সকল পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ৩০টি রোজা করতে হবে। এবং এ মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করতে হবে। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। রমজান মাস সবার জন্য রহমতের মাস। এই মাসে যারা কবরবাসী তাদের কবরের আজাব বন্ধ রাখে।

এবং দুনিয়ায় পাপের হিসাব এই মাসে বন্ধ রাখে। শুধু সওয়াবের হিসাব লিখা হয়। এই আর্টিকেলে ৩০ রোজার ফজিলত দলিল সহ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যদি আপনার আর্টিকেলটি পড়ে রমজান মাসে রোজার সমস্ত ফজিল সম্পর্কে জানতে পারেন। তাহলে আর্টিকেলটি লিখতে পেরে আমি ধন্য মনে করব। এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url