ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান করুন ঘরে বসে ১০০% জমির সঠিক তথ্য যাচাই
Arif
২৫ ফেব, ২০২৫
ই পর্চা খতিয়ান
অনুসন্ধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। ঠিক আছে আজকে ই পর্চা
খতিয়ান নিয়ে আলোচনা করব। খতিয়ান অর্থ হচ্ছে ভূমির সঠিক মালিক যে তাকে
চিহ্নিত করা। জমি কতটুক বৈধ এবং কতটুকু অবৈধ। তাছাড়া জমির বাজার মূল্য কত। এবং
কোন দাগে কতটুকু জমি রয়েছে। এই সমস্ত ব্যাপারে ই পর্চা খতিয়ান এর মধ্যে থেকে
জানা যায়।
আজকে এই সমস্ত ব্যাপারে আলোচনা করব বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে জমি জামা নিয়ে
ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। ভূমি অফিসে খতিয়ান দেখার জন্য অনেক ঘোরাঘুরি করা
লাগে। সময় ব্যয় করতে হয় । এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি যুগ এখন আপনার হাতের মোবাইল
দিয়ে জমির খতিয়ান খুব সহজে দেখতে পারবেন। কিভাবে দেখবেন শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে
পড়ুন
পোস্ট সূচিপত্রঃ জমির ই পর্চা খতিয়ান সন্ধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে আছেন। ভূমি অফিসে
ঘুরতে ঘুরতে নিজের ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন তাও সঠিকভাবে আপনি নিজের জমি জমা
তল্লাশি করতে পারছেন না। এখন বর্তমান প্রযুক্তির যুগ এখন আপনি চাইলেও
ভুমি অফিসে না যেয়ে বাড়িতে বসে আপনার জমির তল্লাশি সঠিকভাবে করতে পারবেন।
আপনার হাতে যে মোবাইল ফোন আছে এই মোবাইল ফোনে থেকেই জমির খুঁটিনাটি সমস্ত কিছু
জানতে পারবেন। এজন্য আপনার জানতে হবে শিখতে হবে কিভাবে মোবাইল ব্যবহার করে জমি
তল্লাশি করবেন।
খতিয়ান এমন একটি বিষয় এটা হল জমির সঠিক যে মালিকানা তাকে চিহ্নিত করা।
বাংলাদেশের জরিপ বিভাগ থেকেই প্রস্তুতকৃত খতিয়ান। জমির খতিয়ানে সঠিক মালিকের
নাম ডাক নাম্বার জমির কতটুকু সমস্ত কিছু খতিয়ানের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে।
তাছাড়া এক দাগে কতটুক জমি রয়েছে কিংবা কতটুক বৈধ জমি রয়েছে। এই জমির মূল্য এখন
বর্তমান বাজারে কেমন। তাছাড়া জমিই পর্চা খতিয়ান মধ্যে থেকে বিক্রয়ও করতে
পারবেন। এখান থেকে সঠিক ক্রেতা এবং বিক্রেতা পাবেন।
জমির বৈধ সঠিক মালিকানা খুঁজে পেতে হলে অবশ্যই এ খতিয়ান দেখতে হবে। প্রাচীনকালে
মানুষ জমি ক্রয় করতো তার কোন দলিল থাকতো না মুখের কথায় জমি বিক্রি করছে।
বর্তমানে তা পরিবর্তন হয়েছে । এখন জমি বিক্রয় করতে হলে দলিল লাগে তা না
হলে একজন জমি বিক্রি করতে পারবেনা আর একজন জমি কিনতেও পারবেনা। এজন্য জমি কেনার
আগে বা বেচার আগে জমির মূল মালিক তাকে চিহ্নিত করে। তারপরে জমি ক্রয় করতে হবে।
বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে আছে সেই ওয়েবসাইট টির নাম dlrms.land.gov.bd। এখান
থেকে জমির খতিয়ান তল্লাশি করে নিবেন। তা ছাড়া যদি মনে করেন ওয়েবসাইটে না
গিয়ে দেখবেন। তাহলে আপনার মোবাইল ফোনে প্লে স্টোর থেকে খতিয়ান এপ্লিকেশনটি
ইন্সটল করে নিবেন। এখন প্রযুক্তির যুগ হয়ে এখন কোন মানুষের জমি-জামা নিয়ে
আর কোন ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে না। এখন কেউ জোর করেও চাইলেও কারো জমি দখল
করতে পারছে না। কারণ এখন সঠিক প্রমাণ জানতে পারছে এবং সঠিক মূল মালিক যে তাকেও
চিনতে পারছে।
মোবাইল অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইট থেকে জমির খতিয়ান দেখতে পারবেন। জমির অরজিনাল
খতিয়ান কপি নিতে পারবেন হোম ডেলিভারি করার মাধ্যমে। আপনার বাড়িতে বসেই কপি নিতে
পারবেন। এই জন্য আপনার ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মতো লাগতে পারে। আপনি ভূমি অফিসে
না যেও খুব সহজে বাড়িতে বসে পাবেন। ৪-৫ দিনের মতো হয়তো বা সময় লাগতে পারে।
আপনার ব্যস্ততার মধ্যে সময় দিয়ে ভূমি অফিসে না যে পাছেন এটাই সৌভাগ্য।
ই পর্চা খতিয়ান ধরন যেমন হয়
ই পর্চা খতিয়ান করে নির্ধারণ করে জমির মূল তথ্য যাচাই করতে হয়। ই
পর্চা ধরন অনুসারে অনুসন্ধান করতে হবে। ই পর্চা বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । ই পর্চা
মধ্যে এক এক ধরনের তথ্য থাকে। এজন্য জমি সত্যতা যাচাই করতে হলে অবশ্যই ই পর্চা
নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি দিতে হবে। তা না দিলে আপনার তথ্য ভুল আসতে পারে। একটি
নির্দিষ্ট প্রকারভেদ এখান থেকে যে বিষয়ে জমির যে তথ্য সংগ্রহ করতে চান। সেই তথ্য
আপনাকে সঠিক ভাবে অনুসন্ধান করতে সহযোগিতা করবে। জমি যাচাই করতে হলে অবশ্যই
আপনাকে কোন পর্চা কি বিস্তারিত সেই বিষয়টা জানতে হবে।
তা না হলে আপনার জমির সঠিক খতিয়ান দেখতে পারবেন না। আমাদের দেশের বিভিন্ন
প্রান্তর থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে জানতে চাই। যারা সঠিক তথ্য দিয়ে
জানতে চায় তারা জানতে পারে অনেকেই আছে ভুলভাল তথ্য দেয় অনুসন্ধানে। কোন বিষয়ে
কোনটি দেখা যায় সেটা না জানলে বিরাট সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এজন্য আমি ই পর্চা
খতিয়ানের কয় প্রকার হয় এবং কোন খতিয়ানের কিভাবে যাচাই করতে হয় সেই বিষয় নিয়ে
আলোচনা করছি।
ই পর্চা
যেভাবে অনুসন্ধান করবেন
বি আর এস
খতিয়ান যাচাই বি আর এস
বি এস
বিএস খতিয়ান অনুসন্ধান
আর এস
অনুসন্ধান আর এস খতিয়ান
সি এস
খতিয়ান সিএস অনুসন্ধান
এস এ
খতিয়ান যাচাই এস এ
পেটি
খতিয়ান পেটি চেক
ডিপি
খতিয়ান ডিপি অনুসন্ধান
যেভাবে জমির ই পর্চা খতিয়ান সন্ধান করবেন
খতিয়ান অনুসন্ধান করতে দুইটি মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবেন। একটি হলো ওয়েবসাইট
থেকে সন্ধান বা দেখতে পারবেন আরেকটি মাধ্যম হচ্ছে আপনার হাতের এন্ড্রয়েড ফোন
থেকে। খতিয়ান অনুসন্ধান করা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি হচ্ছে। কিভাবে খতিয়ান
অনুসন্ধান করবে কিভাবে করলে ভালো হয়। আমাদের দেশে জমি জমা নিয়ে সঠিক তথ্য জানার
জন্য অনেকেই উৎসাহীত। কারণ তার নিজের কতটুকু জমি আছে এবং তার জমি কেউ দখল করছে
কিনা। এই জমির আসল মালিক কে আসলে আমি নিজেই না অন্য কেউ সঠিক আছে কিনা এই তথ্য
যাচাই করার জন্যই খতিয়ান অনুসন্ধান করে।
খতিয়ান অনুসন্ধান ওয়েবসাইটে আছে সে ওয়েবসাইটটি হলো dlrms.land.gov.bd ।
তাছাড়া মোবাইল দিয়ে ক্রোম ব্রাউজার দিয়ে দেখতে পারবেন। আবার যদি মনে করেন কোন
ব্রাউজার ব্যবহার না করে দেখবো। তাহলে প্লেস্টোরি থেকে খতিয়ান এপ্লিকেশনটি আপনার
ফোনে ইন্সটল করে দেখবেন। বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় এই সুযোগটা সবার মাঝে সরিয়ে
দিয়েছে। কারণ অনেকেই বিভিন্ন প্রতারণায় শিকার হচ্ছে ভূমি অফিসে যেযে। সঠিক তথ্য
জানতে পারছে না এমনকি অনেকদিন ঘোড়া লাগছে বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে সম্মুখীন হতে
হচ্ছে।
এজন্য আপনার হাতের ফোন দিয়ে বাড়ি বসেই আপনি অফিসে না যেয়ে আপনার জমির সকল তথ্য
সংগ্রহ করতে পারবেন। এজন্য খতিয়ানের মেন ওয়েবসাইট অথবা এপ্লিকেশনের মধ্যে যাবেন
যে ওখানে খতিয়ানের অপশন বাছাই করে নিবেন। তারপরে যথাক্রমে খতিয়ানের যে যে তথ্য
দিতে হবে সব তথ্য টাইপ করে খুঁজে লেখায় ক্লিক করে দিবেন। লেখার পর ক্লিক করলে
আপনার খতিয়ানে ও দাগের বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন।
আর যদি মনে হয় আপনার সঠিক তথ্য পাছেন না। এজন্য আপনার ইউনিয়নে ভূমি অফিস অথবা
উপজেলা ভূমি অফিস যেয়ে যোগাযোগ করে দেখতে হবে। কারণ অনেক সময় সঠিক তথ্য পাওয়া
যায় না। অনেক সময় সে তথ্য সেখানে দেয়া থাকে না। এজন্য যদি না পাওয়া যায়
তাহলে ভূমি অফিস থেকে দেখে নিবেন বা জেনে নিবেন।
জমির ই পর্চা খতিয়ান সন্ধান করার জন্য কি কি প্রয়োজন
ই পর্চা খতিয়ান সন্ধান করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দরকার
যেগুলো জমি ক্রয় করা সময় পেয়েছেন অর্থাৎ বিক্রয় করার সময় আপনাকে দিয়েছে। সে
ডকুমেন্ট প্রয়োজন পড়ে। অনেকেই দেখা যায় ২৫ বছর ৩০ বছর আগে জমি ক্রয়
করেছে। কিন্তু তার এখন পর্যন্ত জমি নিয়ে চিন্তিত থাকে। নিজের নামে আছে
নাকি অন্যজনের নামে এমন বিভিন্ন চিন্তা তার মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। এজন্য
সঠিক তথ্য জানার জন্য ভূমি অফিসে তল্লাশি নেই। এজন্য ভূমি অফিস অর্থাৎ ভূমি
government চিন্তা দূর করার জন্য অতএব অফিসে না যেয়ে বাড়ি বসে নিজের জমি তথ্য
যাচাই করার জন্য এপ্লিকেশন অতএ ব ওয়েবসাইট তৈরি করেছে।
ওয়েবসাইট অথবা এপ্লিকেশন থেকে আপনার হাতের মোবাইল দিয়ে সব তথ্য যাচাই-বাছাই
করতে পারবেন। আপনার ফোনের যে কোন ব্রাউজার অন করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
তাছাড়া অ্যাপ্লিকেশন অন করে যাচাই করতে পারে। কারণ জমির স্থানীয় সঠিক
ঠিকানা সবার জানা দরকার। অনলাইনে জমির খতিয়ান অনুসন্ধান করতে হলে আপনার জানা
থাকতে হবে জমির স্থানের ঠিকানা সম্পর্কে। এমনকি জমির খতিয়ানের যেকোন একটি তথ্য
জানা থাকলে ভালো হবে। জমির যেকোন খতিয়ানের তথ্য জেনে রাখা মানেই খতিয়ানের একটি
নাম্বার মনে রাখা।
কারণ একাক খতিয়ানের একাক নাম্বার। কোন খতিয়ানের সাথে কোন নাম্বারে মিল
পাওয়া যায় না। এজন্য নাম্বার অবশ্যই মনে রাখতে হবে। তা না হলে খতিয়ান তদরতি
করতে পারবেন না। কারণ আপনার সঠিক যে কোন একটি তথ্য জানতে হবে কারণ খতিয়ানে থাকে
জমির দাগ নম্বর। তাছাড়া জমির সমস্ত তথ্য উল্লেখ থাকে। খতিয়ান তল্লাশি করতে
যেকোনো খতিয়ানের তিনটি তথ্য দেয়া থাকে।
আপনি খতিয়ানের ই পর্চা অনলাইন যাচাই করা আপনার তিনটি তথ্যের মধ্যে যেকোনো একটি
তথ্য জানা থাকতে হবে। অবশ্যই সেটি সঠিক হতে হবে ভুল তথ্য দিলে আপনার তথ্য
খুজে পেতে ব্যর্থ হবেন।এই জন্য খতিয়ান অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে জমির অতএব
খতিয়ানের যেকোনো নাম্বার মনে রাখতে হবে কারণ খতিয়ানের নাম্বার ধরে দেখা যায়।
খতিয়ান নাম্বার না দিলে জমির নির্দিষ্ট কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ই পর্চা খতিয়ানের অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজন যেমনঃ
বিভাগ
জেলা
উপজেলা
মৌজা/ গ্রাম
জমির মালিকের নাম
দাগ নাম্বার
খতিয়ান নাম্বার
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান ওয়েবসাইট
ই পর্চা খতিয়া অনুসন্ধান করতে কয়েকটি ওয়েবসাইট আছে। তার মধ্যে থেকে দুইটি
ওয়েবসাইট আপনার মাঝে তুলে ধরছি e-porcha এবং dlrms.land.gov.bd। এই দুইটি
ওয়েবসাইট এখন বর্তমানে অনুসন্ধান করার জন্য টপ লেভেলে আসে। এই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে খুব সহজে আপনার খতিয়ান দেখে নিতে পারবেন ওয়েবসাইট যেতে হলে অবশ্যই
আপনার ফোন থেকে ব্রাউজার অন করে ঢুকতে পারবেন তাছাড়া যদি মনে করেন অ্যাপস এর
মাধ্যমে দেখবো দেখতে পারবেন। এই ব্রাউজারে বা অ্যাপ্লিকেশনে প্রথমে ঢুকে
আপনি যে বিষয়ে জানতে চান সেই বিষয়টি ওখান থেকে সিলেক্ট করবেন।
অনেকেই নিজের জমির খতিয়ান তথ্য যাচাই করতে চাই। যে নিজের জমির নিজের নামে আছে
কিনা জমি কতটুক আছে এই বিষয়ে জানার জন্য বা দেখার জন্য জমি খতিয়ান সংগ্রহ করার
জন্য ভূমি অফিসে যাই কিন্তু দেখা যাচ্ছে নিজের সময় ব্যয় করে এমনকি সঠিক তথ্য
যদি বা পাওয়া যায় কিন্তু সময় লেগে যায় অনেক।
আবার কিন্তু অনেকেই আগ্রহ আছে যে নিজেই বাসায় বসেই নিজের জমি খতিয়ান দেখবে বা
যাচাই করবে কিন্তু কোথায় থেকে করতে হয় সেটা জানে না আবার যত বা জানি কিভাবে কি
করতে হয় সেটা বুঝতে পারে না এজন্য আমি আর্টিকেলের মধ্যে কিভাবে অ্যাপস বা
ওয়েবসাইটের মধ্যে দিয়ে খতিয়ান দেখবেন সব ডিটেলস নিয়ে আলোচনা করছি।
আপনার মোবাইলের ক্রম ব্রাউজার অথবা অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে প্রবেশ করবেন
যেকোনো একটি ওয়েবসাইট মধ্যে e-porcha এবং dlrms.land.gov.bd।
ওয়েবসাইটের অথবা অ্যাপ্লিকেশনের মেনুবার থেকে খতিয়ান মেনুটি
সিলেক্ট করতে হবে
নিজের পার্সোনাল ঠিকানা পর্যায়ক্রমে বাছাই করতে হবে এবং প্রথমে আসবে
বিভাগ জেলা উপজেলা সিলেক্ট করবেন।
এরপর খতিয়ানের ধরন বাছাই করবেন এখানে সব ধরনের খতিয়ান দেখতে
পাবেন। তার মধ্যে থেকে আপনি যে খতিয়ানের আন্ডারে অনুসন্ধান করতে চান। সেটাই
বাছাই করবেন আর যদি মনে করেন আপনার নামের খতিয়ান সন্ধান করতে চান তাহলে
ওয়েবসাইট মেনু থেকে নামের খতিয়ান জারি অপশনটি বাছাই করবেন।
সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার পরে তখন ওখান থেকে মৌচা বাছাই করবেন অর্থাৎ আপনি যে
মহল্লায় থাকেন বা যে গ্রামে থাকেন আপনার ইউনিয়ন থেকে সেই গ্রামটি সিলেক্ট
করবেন।
খতিয়ানের তালিকা বক্স দেখতে পাবেন। খতিয়ার নাম্বার চাইবে ওইখানে আপনার সঠিক
খতিয়ান নাম্বারটি বসাবেন। খতিয়ান নাম্বার টি বসানো হয়ে গেলে ওখানে দেখতে
পাবেন খুঁজুন বাটুন। ওই বাটুনটি চাপ দেন । তাহলে আপনার ই পর্চা খতিয়ানে সকল
তথ্য দেখতে পারবে।
যদি আপনার খতিয়ান নাম্বার জানা না থাকে বা মনে নাই এমন যদি হয়ে থাকে তাহলে
দেখতে পাবেন অধিকতর অনুসন্ধান বাটন। অধিকতর অনুসন্ধান বাতনে চাপ দিলে আপনার
সামনে দুইটি অপশন শো করবে বা দেখা যাবে। দাগ নাম্বার এবং জমির মালিকের নাম
আপনার কাছে যে তথ্যটি থাকবে আপনি সেই তথ্যটি সেখানে দিবেন। দিয়ে
খুঁজুন বাটনে চাপ দিবেন তাহলে আপনার সঠিক তথ্য দেখতে পাবেন।
এরপরও যদি আপনার কোন তথ্য আপনার সামনে শো না করে তাহলে আপনি ভূমি
অফিসে যেয়ে আপনার খতিয়ান তথ্য যাচাই করে নিবেন। কারণ অনেক সময় সঠিক তথ্য
খতিয়ানে দেওয়া থাকে না। এটা তাদের ব্যর্থতা। যদি না পেয়ে থাকেন
তাহলে ভূমি অফিস থেকে জমির খতিয়ান দেখে নিবেন।
আপনি যদি ই পর্চা খতিয়ান ভূমি অনুসন্ধান করতে চান তাহলে আপনার অনুসন্ধানেই
পর্চা খতিয়ান তথ্য দেখতে পাবেন এবং যদি আপনি ই পর্চা খতিয়ান অনলাইনে
কপি নিতে চান। তাহলে ওখানে দেখতে পাবেন ঝুড়িতে রাখুন এমন একটি অপশন আপনি ওই
ঝুড়িতে রাখুন ওই বাটনে চাপ দিবেন। দিলে ওই জায়গায় আপনার একটি একাউন্ট
দেখতে পাবেন অর্থাৎ এই একাউন্টে আপনি আবেদন করবেন আর যদি মনে করেন অরজিনাল
ফটোকপি নেবেন তাও নিতে পারবেন। ওই একই ভাবে।
ই পর্চা খতিয়ান অরজিনাল ফটোকপি অর্থাৎ অনলাইন কপি নিতে চান তাহলে কি কি প্রয়োজন
হবে এবং কিভাবে আপনার হাতে পাবেন এই বিষয়ে জানতে হবে চলুন এই বিষয়ে জেনে নেয়া
যাক।
ই পর্চা খতিয়ান আবেদন করতে প্রয়োজন বিস্তারিত আলোচনা
ই পর্চা খতিয়ান আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন না জানলে। ই পর্চা
খতিয়ান আবেদন করতে পারবেন না। আমাদের দেশে অনেকেই জমির
সঠিক তথ্য দেখতে চাই । জমি নিজের নামে আছে কি। এমন নানা বিষয় জমির সততা যাচাই
করতে চাই। এবং তাদের জানা দরকার আবেদন করতে গিয়ে কি ডকুমেন্ট লাগে। ই পর্চা
খতিয়ান একটি অনলাইন প্লাটফর্ম এখানে আপনার সঠিক তথ্য প্রদান করে জমি্র সকল
বিষয়ে জানতে পারেন। জমি মানুষের মূল্যবান সম্পদ যতদিন এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে
হবে ততদিন জমি যাচাই করতে হবে।
সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না যার ফলে অনেকেই জমি দখল নেয়ার চেষ্টা করে। ভূমি অফিসে
যেয়ে জমির প্রকল্প তথ্য জেনে নেওয়া যায়। কিন্তু সেখানেও কিছু দুর্নীতির কারণে
সে তথ্য সঠিকভাবে পাওয়া যায় না। এমনকি সেখানে কয়েক দিন ঘুরতে হয় । এখন আমাদের
বাংলাদেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। সঠিক কোন তথ্য পেতে হলে আপনাকে খরচ করতে হবে
অর্থাৎ জমির বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে কিছু পরিমাণ টাকা দিতে হবে। তারপরে আপনি
সঠিক তথ্য জানতে পারবেন। আমি আপনাকে জানাবো খতিয়ান আবেদন করতে কি কি আপনার
লাগবে।
বাড়ি বসে আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে করতে পারবেন। খতিয়ান আবেদন করতে প্রয়োজন হবো
আপনার সঠিক নাম অর্থাৎ ভোটার আইডেন্টি কার্ডে যে নাম দেয়া আছে সে অরজিনাল নাম
লাগবে। এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার। জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার হলে হবে
না। আপনার জন্ম তারিখ যেটা আইডেন্টি কার্ডে আসে সেই জন্ম তারিখ। এবং আপনার
পার্সোনাল নিজস্ব মোবাইল নাম্বার। সব সময় অন থাকতে হবে। কোন তথ্য আপনাকে জানাতে
পারে। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে আপনি তথ্য জানতে পারবেন না। এবং আপনি সঠিক ইমেল
দিবেন।
এবং আপনার ঠিকানা অর্থাৎ আপনি যে জায়গায় বসবাস করেন সেই ঠিকানা দিবেন। এই
তথ্যগুলো সঠিকভাবে আবেদন ফরমে বসাবেন। বসিয়ে তারপরে আপনার ফরমের জন্য আবেদন
করবেন। যদি আপনি আবেদন করতে না পারেন তাহলে আপনার পাশে যারা অনলাইন
সম্পর্কে বুঝে বা জানে তাদের কাছ থেকে আবেদন ফরমটি পূরণ করে নিবেন তাহলে আবেদন
করতে সুবিধা হবে।
ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করবেন যেভাবে তার প্রক্রিয়া
আপনি হয়তো বা ই পর্চা খতিয়া অনুসন্ধান কিভাবে করতে হয় বুঝতে পেরেছেন। আমি
সম্পূর্ণ ধাপে ধাপে আপনাকে দেখাইছি। এখন আপনার মাঝে আলোচনা করব ই পর্চা খতিয়ান
ডাউনলোড যেভাবে করবেন এবং যেভাবে করলে সুবিধা হবে সেই বিষয় নিয়ে জানাবো। অনেকেই
তথ্য দেখতে পেয়েও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। এজন্য ডাউনলোড করার কিছু কৌশল
অবলম্বন করতে হবে ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেনা।
আপনাকে বলেছি এখনও বলছি ই পর্চা খতিয়ান অরজিনাল ফটোকপি ডাউনলোড করতে হলে অবশ্যই
আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে। তা না হলে ডাউনলোড করতে পারবেন না। আপনার ফর্ম
যখন কমপ্লিট করে জমা দিবেন তখন আপনার ১০০ টাকা লাগবে। এবং ১০০ টাকার
বিনিময়ে আপনি ফর্মটি ডাউনলোড করতে পারেন। আপনার খতিয়ান আবেদন বাটুনে চাপ দিলে
আপনার সামনে ডাউনলোড আবেদন ফরম চলে আসবে। এবার আপনার কি কাজ করতে হবে ধাপে ধাপে
এবার আলোচনা করি।
খতিয়ানের আবেদন ফরমে বাটন চাপার পরে একটি ফরম আপনার সামনে দেখতে পাবেন। এবং
সেই ফর্মটি আপনার নাম ঠিকানা সমস্ত ডিটেলস দিয়ে পূরণ করবেন অর্থাৎ যা যা
ওখানে চাইবে সমস্ত কিছু দিবেন।
প্রথম ধাপে আপনার আইডেন্টি কার্ডের নাম্বার নাম জন্মতারিখ দিয়ে যাচাই
অপশনে ক্লিক করবেন যাচাই অপশনে ক্লিক করার পরে আপনার দ্বিতীয় ধাপ এমন একটি
অপশন দেখতে পাবেন। এখানে যা ঠিকানা দিবেন সব ইংরেজিতে লিখবেন।
দ্বিতীয় ধাপে আপনার সত্য অবলম্বন করতে হবে। ওখানে থাকবে যে আপনার খতিয়ানে
পাওয়ার ধরন কি বাছাই করুন অর্থাৎ কপি ডাউনলোড করার জন্য অনলাইন কপি বাটনের
চাপ দিবেন। আর যদি অরজিনাল খতিয়ান কফি নিতে চান তাহলে
সার্টিফিইড বাটুনে চাপ দিবেন। তারপরে ওখানে নেয়ার কিছু অপশন দেখতে
পাবেন।
সার্টিফিইড কপি ভূমি অফিসের মাধ্যমে যদি সংগ্রহ করতে চান তাহলে অফিস
কাউন্টার বলে একটি বাটুন দেখতে পাবেন। ওই বাটুনে চাপ দিবেন এবং যদি
আপনার অরজিনাল খতিয়ান পোস্ট অফিসের মাধ্যমে নিতে চান তাহলে হোম ডেলিভারি
থেকে যোগাযোগ বাটুনে চাপ দিবেন। তাহলে ওখান থেকে বাড়িতে বসেই অরজিনাল
খতিয়ান নিতে পারবেন।
ওখানে অরিজিনাল ঠিকানা দিবেন অর্থাৎ যেখানে বসবাস করেন যে ইউনিয়ন গ্রামের
ঠিকানা দিবেন তাহলে খতিয়ান অরজিনাল কপি আপনার বাসায় দিয়ে যাবে।
এরপর আপনাকে আবেদন ফি পেমেন্ট করার জন্য পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। সেখানে যেয়ে
আপনার মোবাইলে যদি বিকাশ থাকে তাহলে বিকাশ থেকেও পেমেন্ট করে দিতে পারবেন। আর
যদি না থাকে তাহলে কোন বিকাশ ঘরে যেয়ে বিকাশ করে পাঠাবেন।
অনলাইন কপি ফ্রি ১০০ টাকা লাগবে এবং অরজিনাল কপি ভূমি অফিস থেকে
ডেলিভারি নিতে হলে ১০০ টাকা লাগবে। আর যদি মনে করেন ডাক যোগাযোগের
মাধ্যমে নিজের বাড়িতে বসে অরজিনাল কপি নিবেন। তাও নিতে পারবেন এজন্য
আপনার ডেলিভারি ম্যানকে ১৪০ টাকা দিতে হবে।
টাকা পয়সা সম্পন্ন পরিষদ করার পর আপনার অনলাইন কপি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
এবং অরজিনাল কপি নিতে হলে আপনাকে ৭-৮ দিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এটি
আপনি বাসায় বসে পাবেন।আপনাকে দিয়ে যাবে এই জন্য একটু সময় লাগতে পারে।
এই সম্পূর্ণ ধাপ অনুসরণ করে আপনি ই পর্চা খতিয়ান ডাউনলোড করতে পারবেন। তাছাড়া
হোম ডেলিভারি করে অফিসে না যেও নিতে পারবেন সম্পূর্ণ আপনার সময় ব্যয় না
করার মাধ্যমে। আপনাকে অনলাইন সম্পর্কে জানলে সুবিধা হবে।। যদি না জানে কারো কাছ
থেকে শিখে নিবেন তাহলে আর আপনাকে ভুমি অফিসে যাওয়া লাগবে না।
মোবাইলের এপ্লিকেশন ব্যবহার করে কিভাবে ই পর্চা খতিয়ান সন্ধান করবেন
বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় খতিয়ান অনুসন্ধানের জন্য ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল
ফোনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেছে। বেশিরভাগ বাংলাদেশের মানুষ এন্ড্রয়েড ফোন
ব্যবহার করে। মোবাইল ফোন এপ্লিকেশন ব্যবহার করে জমির খতিয়ান তল্লাশি করতে পারবেন
এজন্য জমি তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন পড়বে।
অ্যাপ্লিকেশনটি play store থেকে ডাউনলোড করে ফোনে ইন্সটল করে নিবেন।
অ্যাপ্লিকেশনের টি নাম হচ্ছে Dlrms। অ্যাপ্লিকেশন কি সম্পূর্ণ মোবাইলে
ইন্সটল হয়ে গেলে অ্যাপ্লিকেশনটি ওপেন করবেন।
প্রথমে দেখতে পাবেন খতিয়ান সিলেক্ট করার অপশন ওখান থেকে খতিয়ান সিলেট করে
দিবেন। আপনি যে বিষয়ে জানতে চায়চ্ছেন সে বিষয়টি ওখান থেকে বাছাই করবেন। ওখানে
দেখতে পারবেন যথাক্রমে আপনার বিভাগ জেলা উপজেলা খতিয়ানের ধরন কেমন এবং দাগ নম্বর
এমন সমস্ত অনুসন্ধানের অপশন পাবেন।
আপনি যে স্থানে থাকেন যে বিভাগ জেলা সমস্থ কিছু সঠিকভাবে পূরণ করবেন। এবং আপনার
দাগ নাম্বারটি দাগ নাম্বারে অপশনে জায়গায় বাসাবেন। তারপর ওখান থেকে অনুসন্ধানে
ক্লিক করবেন। তাহলে আপনার সামনে আপনার সঠিক তথ্য চলে আসবে। সঠিক নিয়ম কারণ
মেনে চললেই আপনার জমির সঠিক তথ্য পেয়ে যাবেন।
লেখকের শেষ কথাঃ ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান
ই পর্চা খতিয়ান অনুসন্ধান নিয়ে আর্টিকেলে মূলত আলোচনা করা। জমিজমা
সংক্রান্ত নানান বিষয় নিয়ে আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি। আপনি যেভাবে হোম
ডেলিভারি মাধ্যমে ই পর্চা খতিয়ান হাতে পাবেন। এবং কিভাবে আপনি বাসায় বসে
মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দেখতে পাবেন অতএব এই সমস্ত ব্যাপারে আলোচনা করেছি।
বাংলাদেশ ভূমি মন্ত্রণালয় সকল সুযোগ সুবিধা ভূমি আলাদের দিয়েছে। ভূমি
মন্ত্রণালয় না যেও আপনি সকল ধরনের সেবা বাড়িতে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন।
এজন্য আপনার সঠিক জ্ঞান মেধা কাজে লাগিয়ে সমস্ত ব্যাপারে যাচাই বাছাই করতে
হবে। আজকে আর্টিকেলে আমি যতটুকু জানি ততটুক আলোচনা করেছি। যদি এর মধ্যে কিছু ভুল
তথ্য দেওয়া হয়। তাহলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আপনি আরেকটু
যাচাই করবেন। এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য
ধন্যবাদ।
কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url