চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার


চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার। চুলের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য অনেকে অফুরন্ত চেষ্টা করছে। বিভিন্ন  আয়ুর্বেদিক  ভেষব তেল ব্যবহার করছে। কোন উপকার হচ্ছে না। আসলে প্রাকৃতিক ভাবে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। কারি পাতা ব্যবহার করতে হবে। এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবো। 

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার

কিভাবে কারি পাতা ব্যবহার করলে আপনার চুলের সৌন্দর্য ফিরে আসবে। অবশ্যই আপনি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটি আপনার চুলের যেকোনো সমস্যার সমাধান হতে পারে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার 

মানুষের সৌন্দর্য বাড়ায় চুল। আর সেই চুল যদি দেখতে খারাপ হয় । তাহলে মানসিক ভাবে ভেঙে পরতে হয়। কিভাবে চুলের যত্ন নিলে চুলের সৌন্দর্য ফিরে পাবো। মানুষের অমূল রত্ন হচ্ছে চুল । দেখতে ভালো এবং সুন্দর চুল থাকলে গর্ব করা যায়। যার চুল পাতলা, ছোটো ,উস্কো ভালো নাই । চুল ভালো করার এজন্য ভিন্ন উপায় খোঁজে । এবং বিভিন্ন তেল ব্যবহার করে। এতে তেমন একটা উপকার হয় না।

কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে প্রবলেম ফেস করতে হয়। মাথায় হাত দিলে বা চুল আঁচড়ালে স্বাভাবিক তুলনায় প্রচুর চুল উঠে যায়। দেখতে খারাপ লাগে। প্রাকৃতিক ভাবে চুলের চিকিৎসা করায় সবচেয়ে ভালো। প্রাচীন কাল থেকে মানুষ গাছ-গাছালি এর ওষুধ ব্যবহার করে রোগ থেকে মুক্তি পেত। 

এখনো গাছ গাছালের পচুর চাহিদা আছে। জানতে হবে কোন গাছের পাতা বা শিকড় মানব দেহর জন্য উপকার। যেমন চুলের উপকারের জন্য কারি পাতা । ভিটামিন বি ভিটামিন সি ভিটামিন ডি অ্যান্টি-অক্সিডেন এর কার্যকরী ক্ষমতা রয়েছে কারি পাতায়। 

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান 

নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের যেকোনো সমস্যা যেমন, চুল পেকে যাওয়া মাথায় খুশি হওয়া, উকুন হওয়া, চুল ফেটে যাওয়া, লম্বা না হওয়া চুলের গোড়ায় পরিপূর্ণ পুষ্টি এবং চুল শক্ত মজবুত না হওয়ার থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

এজন্য প্রাকৃতিক  ভাবে চুলের যত্ন নেওয়া সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কারি পাতা ব্যবহার করা। এতে চুলের পরিপূর্ণ হরমোন এর উৎপাদন বেড়ে যায়। এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।

কারিপাতার সাথে কি ব্যবহার করে চুলের পেস্ট বানাবেন

প্রাকৃতিক ভাবে চুলের যত্ন নেওয়ায় সবচেয়ে ভালো। কারণ এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না । চুলের স্বাভাবিক ভারসাম্য ঠিক থাকে। কোন ক্ষতিকর পদার্থ আক্রমন করতে পারে না। এতে চুল সুন্দর মুশ্লীল ঝিল মিলে ঘন কালো লম্বা রূপ নেই। এমনকি মাথার চামড়া খুকশি থেকে দ্রুত রোধ করে। এবং চুলের গোড়ায় পরিপূর্ণ পুষ্টিকর ভিটামিন সরবরাহ করে। 

কারি পাতা এমনই একটি উদ্ভিদ যা মানব দেহের বিভিন্ন রোগের প্রভাব থেকে মুক্তি দেয়। দেহ সুস্থ সুন্দর সেবল রাখে। কারি পাতা শুধু পেস্ট বানিয়ে ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া এটা সেবন করাই যায়। প্রত্যেকদিন সকালে বাসি পেটে ২-৩ চামচ কারি পাতা রস সেবন করতে হবে। 

এইভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে আপনার দেহর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। চলুন জেনে নি কারি পাতার সাথে কি ব্যবহার করে চুলের জন্য ভালো পেস্ট বানাবেন। আলোচনা করা হলো। যেমনঃ

  • নারিকেল তেল এবং কারি পাতা রস একসাথে মিশ্রণ করে। মাথায় আলতো করে চুলের গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট  রেখে দিন। তারপরে শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন।
  • মেথি এবং কারি পাতা ভালো করে পাটায় বেটে মিশ্রণ করে পেস্ট বানান। এবং সেই পেস্ট ভালো করে মাথার চুলের গোড়ায় লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । এরপর শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করবেন। মেথি এবং কারি পাতা চুলের বেশ উপকারি। এটি চুলের দীর্ঘদিন রং ধরে রাখে অকাল পেকে যাওয়া  রোধ করে।
  • হলুদ এবং কারি পাতা পাটায় বেটে পেস্ট বানান। এটি ভালো করে একসাথে মিশ্রণ করে শরীরের সমস্ত জায়গায় লাগান। এতে ত্বকের কোন ক্ষতিকর পদার্থ আক্রমণ করার থেকে রক্ষা করবে। হলুদ এবং কারি পাতা একসাথে মিশ্রণ করার ফলে শক্তিশালী ভিটামিন তৈরি হয়।
  • আমলকি এবং কারি পাতা পেস্ট বানান। এটি ভালো ভাবে মিশ্রণ করে চুলের গোড়ায় লাগান। এভাবে ২০- ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল শুকানোর পরে আমলকি তেল এবং কারি পাতার তেল ব্যবহার করলে ফলাফল আরো ভালো হবে।
  • কারি পাতা পাটায় বেটে টক দই দিয়ে  মিশ্রণ করে পেস্ট বানান। এটি বেশ শক্তিশালী প্রোটিনের সমূদ্ধ উৎস। হরমোন বৃদ্ধি করে পরিপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে কোন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রভাব ফেলতে পারে না। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে।
  • কারি পাতা এবং জবা ফুল পাটায় বেটে পেস্ট বানান। জবা ফুল ও কারি পাতার পেস্ট চুলের জন্য বেশ উপকারী। কারি পাতা জবা ফুল ভালো করে মিশ্রণ করুন। তারপর মাথায় চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর ২৫-৩০ মিনিট ফ্যানের বাতাসে অথবা ছায়াযুক্ত জায়গায় বসে শুকান। তারপর মাথা চুলে শ্যাম্পু করুন। এতে চুলের পরিপূর্ণ ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করবে।

কারি পাতা মানব দেহের জন্য কতটা প্রভাব ফেলে

কারি পাতা এমনই একটি উদ্ভিদ যে উদ্ভিদ শুধু ব্যবহার করা না। এটি মানুষের খাদ্য হিসাবে ধরা হয়।কারণ কারি পাতায় আছে প্রচুর ভিটামিন যা মানব দেহের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেহ সুন্দর সুস্থ সবল ভাবে গড়ে তোলে। কারি পাতা প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই উপকারী। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে।

অবশ্যই সুস্থ-সবল ভিটামিনযুক্ত খাবার সেবন করতে হবে। তার মধ্যে আছে যেমন কারি পাতা। কারি পাতা খেতে হলে বিশেষ করে তরকারির মধ্যে দিয়ে খেতে হবে। খাওয়ার আরেকটি পদ্ধতি আছে সেটি হল কারি পাতা বেটে রস করে। আগুনে গরম করে ফুটিয়ে সেটি মধু দিয়ে সেবন করতে হবে।

অপুষ্টিহীন দুর্বল শরীল। কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না শরীরের মধ্যে গরম এবং জ্বর জ্বর ভাব তাদের জন্য কারি পাতা বেশ উপকারী। কিছুদিন এই নিয়মে সেবন করলে আপনার সমস্ত রোগের সমাধান হবে। রোগ প্রত্যেকটা মানুষের আছে কিন্তু কম আর বেশি।

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার

আরো পড়ুনঃ ত্বকের এলার্জি দূর করার ঘরোয়া উপায়

যাদের দেখা দেয় তাদের মূলত ভিটামিন পুষ্টির অভাব। ফলে খুব দূরত্ব রোগ গুলো ছড়িয়ে পড়ে এবং তা ভয়ংকার রূপ নেই।

কারি পাতার গুড়ার উপকারিতা

কারি পাতা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার হয় অনেকে হয়তো চেনে জানে আবার অনেকেই চেনে না। কারি পাতা মানব দেহের জন্য কতটা উপকার। আমরা সেই ভাবে যদি জানতাম। তাহলে আমাদের খাবার তালিকায় কারি পাতা রাখতাম। কারি পাতার সম্পর্কে এবার আর্টিকেলে আলোচনা করছি। যারা খাওয়ার প্রসেস জানে। তারা নিয়মিত খায়। তরকারির সাথে রান্না করে।

তাছাড়া কারি পাতা খাওয়া যায় কাঁচা চিবিয়ে। কাঁচা চিবিয়ে খেলে রান্না করার খাওয়ার চাইতে দ্বিগুন শক্তি বা পুষ্টি ভিটামিন বাড়ে। রোগবালা থেকে মুক্ত করে দেহ সতেজ রাখে। অনেকের মাঝে দেখা যায় দাঁতের মাড়ি ফুলে যায় যন্ত্রণা করে। দাঁতে পোকা ধরে মুখের মধ্যে বিষাক্ত দুর্গন্ধ। তাদের জন্য কারি পাতা চিবিয়ে খাওয়া জরুরি।

নিয়মিত কারি পাতা চিবিয়ে খেলে। এই সকল রোগ কিছুদিনের মধ্যে মুক্ত হবে। একটি প্রবাদ আছে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকতে হলে। সুস্থ সুন্দর রোগ মুক্ত দেহ প্রয়োজন। আর সুস্থ সুন্দর দেহ পেতে হলে অবশ্যই ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাছাড়া নিজের শরীরের উপর যত্ন বাড়াতে হবে। সঠিক সময়  খাদ্য সেবন করতে হবে।

কালোকেশী ও কারি পাতা কার্যকারিতা সম্পর্কে জানুন

কালোকেশী সাধারণত একটি ওষুধ গাছ। এটি দেখা যায় বাড়ির আঙিনায়। এমনকি পুকুরের পারে। অথবা খাল বিলে, ধানের খেতে পাওয়া যায়। কালোকেশী মানব দেহের জন্য বিরাট উপকারী। কালোকেশী গাছ অথবা পাতা বেটে। মাথায় দিলে জ্বালাপোড়া মাথা যন্ত্রণা করা বন্ধ হয়। মাথা ঠান্ডা করে । কালোকেশী সাথে কারি পাতা, মেথি জবা, নারকেল তেল আমলকি  মিশ্রণ করে ।

গরম করে তেল সংরক্ষণ করে রাখলে। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে। মাথায় চুল পড়া বন্ধ এবং চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তাছাড়া যাদের মাথায় অতিরিক্ত উকুন খুকশি। নিয়মিত এই তেল ব্যবহার করার ফলে মুক্তি পেতে পারেন। তাছাড়া দেহ কোন জায়গায় কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে। সে ক্ষতস্থানে কালোকেশী বেটে লাগালে। কিছুক্ষণের মধ্যে জ্বালাপোড়া কমে যায়। 

এবং কয়েক দিনের মধ্যে ক্ষতস্থান চামড়া পরিবর্তন হয় । কালোকেশীতে কোন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া নেই। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ঔষধ আপনি নিরাপদে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া মানব দেহ বাদে প্রাণীদের দেহ জন্য কার্যকারী। গরু ছাগল হাঁস মুরগি ইত্যাদি ঔষধ হিসাবে। এই কালোকেশী গাছের রস ব্যবহার করতে পারবেন।

কারি পাতা চিনবেন কি ভাবে

কারি পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। অনেকেই প্রাকৃতিক ভাবে এই কারি পাতা সংগ্রহ করতে চাই। কিন্তু অনেকে চেনে। আবার অনেকে চেনে না। কারি পাতা বন জঙ্গলে বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে। সেখান থেকে সংগ্রহ করতে হবে। অনেক সময় কারি পাতা দেখতে নিম পাতার মত লাগে। এজন্য নিম পাতা এবং কারি পাতা দুটোই ভালো করে চিনতে হবে। 

তারপরে কারি পাতা সংগ্রহ করতে হবে। নিমপাতা অনেক তিতে কিন্তু কারি পাতা তার চেয়ে ভিন্ন আলাদা। মিষ্টি সুস্বাদু একটি খাদ্য। কারি পাতায় আছে কিছু পরিমাণ ঝাঁঝ যা মানুষের রুচিতে টিপটি আনে। কারি পাতা বিশেষ করে আমাদের পার্শ্ববর্তী ভারতের লোকজন রান্না করে খায়। কেউ কাঁচা খায় আবার কেউ তরকারির সাথে রান্না করে খাই।

কারি পাতা একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। কারি পাতা মানুষের দেহই পচুর ভিটামিন তৈরি করে। কারণ কারি পাতায় আছে শক্তিশালী বিটা-ক্যারোটি। কারি পাতা মানবদেহের বিশেষ ভূমিকা রাখে। সুস্থ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে নিঃসন্দেহে কারি পাতার ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার পচুর চাহিদা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়

কারি পাতার চারা কোথায় পাওয়া যাবে

চুলের যত্নে কারি পাতা বেশ কার্যকারী। আগে দেখতাম বাড়ির আশপাশে আগান বাগানে কারি পাতার চারা। এখন বর্তমান যুগে ঘন বসতির কারণে সেই বন জঙ্গল অনেকটা কমে গেছে। কারি পাতার চারা দেখা যায় না। এজন্য অনেকে এই প্রাকৃতিক ঔষধ নামক কারি পাতা ব্যবহার করতে পারেনা। আপনার বাড়িতে গাছ লাগানোর পরিবেশ থাকে।

তাহলে কারি পাতার চারা লাগাতে পারেন। নার্সারিতে যেয়ে কারি পাতার চারা সংগ্রহ করতে হবে। যদি কোন নার্সারিতে কারি পাতা চারা পাওয়া না যায়। তাহলে আপনি অনলাইন থেকে কারি পাতা  চারা অর্ডারের করতে পারবেন।

চুলের-যত্নে-কারি-পাতার-ব্যবহার

লেখকের মন্তব্যঃ চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার 

চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার করতে হবে। কারি পাতার ফল পাতা গাছ মানবদেহের বেশ কার্যকরী। অনেকেই চুল বা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। আমার মতে কারি পাতা নিঃসন্দে ব্যবহার করতে পারেন। এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। কারি পাতা নিয়মিত ব্যবহার করার ফলে আপনার যেকোনো সমস্যা চুল বা ত্বকের। 

কিছুদিনের মধ্যে মুক্তি পেয়ে যাবেন। এই আর্টিকেলে চুলের যত্নে কারি পাতার ব্যবহার সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কোন জায়গায় বুঝতে বা কোন ভাষা খারাপ ভাবে উপস্থাপনা করা থাকে। তাহলে আপনি আমাকে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধু বান্ধব সবার মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url