রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয় এই বিষয়ে অনেকেই জানতে চাই। রক্ত
ইনফেকশন একটি মারাত্ম ব্যাধি ভাইরাস। দেহ বা ত্বকে কোন ক্ষতস্থান ফোঁড়া বা
কোন কিছুর আঘাত সেখান থেকেই রক্তের ইনফেকশন হতে পারে। এ আর্টিকেল এর মধ্যে আলোচনা
করব কিভাবে বুঝবেন রক্তের ইনফেকশন হয়েছে ।
অর্থাৎ ইনফেকশন হলে কিভাবে রোধ করবেন। তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে কিভাবে রক্তের
ইনফেকশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর্টিকেল এর মধ্যে তুলে ধরেছি। অবশ্যই
আর্টিকেলটি ধৈর্য ধরে সম্পন্ন পড়ুন। রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয় এই
বিষয়ে জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয় বিস্তারিত আলোচনা করা
হলো
ইনফেকশন একটি ভাইরাস রোগ এটি প্রায় অনেকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে ।
অনেকের মধ্যে দেখা যায় তাদের দেহ দুর্বল এবং ঠান্ডা অতিরিক্ত পেট ব্যথা
মাথা যন্ত্রণা ।এমন অনেক কিছু দেখা যায়। এটি মূলত হয় মশার কামড় অথবা দেহর
কোনো ক্ষতস্থান ফোড়া বা এলার্জি এর কারণে । এর ভাইরাসটি রক্তের সাথে মিশে দেহ
ছড়িয়ে পড়ে। রক্তের সংক্রমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন নাশক ভাইরাস রোগ। কিছু
পরিবর্তন দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে।
এমন কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যায়। দেহ দুর্বল
হয়ে পড়ে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পায়। রক্তের অতিরিক্ত চাপ বেড়ে যায় এসব লক্ষণ
দেখা দিলে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করতে হবে । কারণ তাড়াতাড়ি না করলে আপনার
জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে । রক্তের ভাইরাস নির্ণয় করতে হলে অবশ্যই সঠিক
চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। এবং অনেক কিছু নিয়ম কারণ আছে সেই নিয়ম কারণগুলো মেনে
চলতে হবে । তরল পদার্থ বা এন্টিবায়োটিক ইনজেকশন এর মাধ্যমে দেহ প্রবেশ করাতে
হবে। রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ হতে পারে।
কিন্তু এই ভাবে কিছু সময় জন্য ভালো থাকা যেতে পারে । পুরোপুরি ভালো হবে না ।
রক্তের ভাইরাস দেহের প্রত্যেকটা শিরার মধ্য দিয়ে দেহর অর্ধকোষ ছড়িয়ে
পড়ে । ভাইরাস হলে একটু সময় লাগতে পারে পুরোপুরি ঠিক হতে । এজন্য ভালো
চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। এবং অনেক কিছু লক্ষণ হয়তোবা দেখতে পারেন ।
হওয়ার আগে এই লক্ষণগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন যে রক্তের ইনফেকশন হয়েছে ।
তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ঘরে বসে ইনফেকশন এর চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। সে
ব্যাপারে আর্টিকেলে আলোচনা করছি।
যেভাবে রক্তে ইনফেকশন হয়
রক্তের ইনফেকশন হলে করণীয় কি এমন অবাস্তব প্রশ্ন নিয়ে অনেকে জানতে চাই যে
ভাইরাসটা ছড়ায় কিভাবে। সুষম পুষ্টিকর খাদ্য খাবার পরও এবং স্বাস্থ্য পরিবেশে
থাকার পরেও কেন রক্তে ইনফেকশন হয়। এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করছি । রক্তের
ইনফেকশন একটি মারাত্মক ব্যাধিক ভাইরাস যা দেহর সৌন্দর্য নষ্ট করে। তাছাড়া
ত্বক সাদা বাদামি কালারে হয় । দেহের কোন রক্তে চলাচল তেমন একটা প্রভাব ফেলে না।
ত্বকে বিভিন্ন ফোড়া ঘা এমন অনেক ধরনের রোগ দেখা যায় । রক্তের
যেভাবে ইনফেকশন হয় যেমনঃ
রক্তের ইনফেকশন হওয়ার সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে ব্যাকটেরিয়া যেমন ব্যথা
বদহজম ধুলাবালি নিঃশ্বাসের সাথে ছড়িয়ে পড়ে দেহের প্রত্যেকটা অংশে। এর
মাধ্যমে রক্তে ভাইরাস হতে পারে।
ডেঙ্গু মশা থেকে রক্তের ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।
এজন্য ডেঙ্গু মশার থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে । ডেঙ্গু মশা বিরাট একটি
ভাইরাস যা রক্তের মাধ্যমে ছড়িয়ে। রক্ত ড্যামেজ করে ফেলে।
দেহর বাইরে অর্থাৎ ত্বকে কোন কিছুতে কেটে যাওয়া বা গুরুত্ব আহত হওয়া ক্ষত
হওয়া সে জায়গায় দেখা যায় মাছি বসে। এই ক্ষতস্থান নিয়মিত viodin
দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে । তা না হলে এখান থেকে রক্ত খুব দ্রুত ভাইরাস ছড়িয়ে
পড়তে পারে, এক কথায় বলা হয় রক্তের ইনফেকশন।
মূত্রনালী এখান থেকেও খুব দূরত্ব রক্ত ইনফেকশন হতে পারে। কারণ অনেক সময় দেখা
যায় মত্তনালীতে প্রসাব আটকিয়ে রাখার কারণে এধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। যার
ফলে রক্তের খুব দ্রুত প্রবেশ করে
তাছাড়াও হতে পারে যেমন অপরিষ্কার জায়গায় থাকা অপরিষ্কার কাপড়চোপড় পরিধান
করা পুষ্টি ভিটামিন যুক্ত খাবার না খাওয়া। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া এসব
কারণে দেহ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে। এজন্য এসব কাজ করা থেকে এড়িয়ে চলতে
হবে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখতে হবে এবং খাদ্য
দেখে শুনে খেতে হবে।
এবং আর্সেনিকমুক্ত পানি পান করতে হবে কারণ পানির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ
ব্যাকটেরিয়া থাকে পরিষ্কার পানি সেবন করতে হবে। যে পানিতে আর্সেনিক আছে সে
পানি দরকার হলে ফুটিয়ে সেবন করতে হবে। তা না হলে এই পানি থেকে রক্তে ইনফেকশন
হতে পারে।
রক্তের ভাইরাস হতে পারে অতিরিক্ত ধূমপান মদ পান নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে। এজন্য
এসব নেশা জাতীয় কোন কিছু খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
রক্তে ইনফেকশন লক্ষণ বুঝবেন যেভাবে
রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয় এই বিষয়ে জানতে হবে। রক্ত ইনফেকশন কিছু লক্ষণ দেখলে
বুঝা যায়। নিজের প্রতি যত্ন বা খেয়াল ত্রুটির কারণে এই ভাইরাসটি আমাদের
দেহের ছড়িয়ে পড়ে। যদি নিজের প্রতি যত্ন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা যায়
। যেসব কারণে ইনফেকশন হতে পারে সেগুলো এড়িয়ে চলা যায়। তাহলে ইনফেকশন আমাদের
দেহ আক্রমণ করতে পারবে না । যে লক্ষণগুলো দেখলে বুঝবেন। যে দেহে বা রক্তে ভাইরাস
আক্রমণ করেছে অর্থাৎ রক্তে ইনফেকশন হয়েছে । যেমনঃ
দেহ অর্থাৎ শরীরে এক সময় তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আবার একসময় তাপমাত্রা কমে
যায় এর ফলে দেহে জ্বর হয়। আবার এক সময় দেহ ঠান্ডা হয়। দেহ কাপুনি চলে আসে
এটা হলে বুঝবেন রক্তে ভাইরাস অর্থাৎ রক্ত ইনফেকশন হয়েছে। এই সময় দেখা যায়
তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী বারে আবার এক সময় কমে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াম হয়
এটাই সংক্রমনের লক্ষণ
তাছাড়া দেখা যায় হার্ট স্পন্দন অতিরিক্ত বেড়ে যায় । তা দেখেই বোঝা
যায় যে দেহে রক্তে ভাইরাসে আক্রমণ করেছে। এ সময় হার্ড স্পন্দন প্রতি
মিনিটে ৯০ থেকে ১০০ বার ধুক ধুক করে। অতিরিক্ত ধুকধুক করার কারণে হার্ট
ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে যার ফলে স্টক করতে পারেন।
পেটের মধ্যে ব্যথা অতিরিক্ত ডায়রিয়া হওয়া। এবং মাথা যন্ত্রণা করা।
রক্তের ভাইরাস এর কারণে হতে পারে। এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিলে
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অতিরিক্ত রক্তচাপ বেড়ে যায়। যার ফলে পেশার হয়ে যায় নো। আবার
অতিরিক্ত বেড়ে যায়। জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এটাই থেকেও বোঝা যায়
রক্তে কোন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করেছে।
দেহর অঙ্গ পতঙ্গের কার্যকারিতা হাস কমে যাওয়া। এমন সময় দেখা যায় কিডনি বা
লিভারে কার্যকরী ক্ষমতা কমে যায়। আবার দেখা যায় দেহ দুর্বল হয়ে যায়।
কোন কিছু স্মৃতি মনে রাখা যায় না মাথার ভেতর যন্ত্রণা এমন কিছু লক্ষণ দেখা
যায়। তখন বুঝবেন এটা রক্তে কোন ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস আক্রমণ করেছে
এমন আরো কিছু লক্ষণ শরীরের দেখা যায় ত্বকে ঘা পচার দাদ ফোড়া এমন কিছু
লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন রক্তে ভাইরাস আছে । তাছাড়া ত্বকের উজ্জ্বলতা
কমে যায় এবং ত্বক সাদা হয়ে যায়।
রক্তে ইনফেকশনের চিকিৎসা যেভাবে করবেন
রক্ত ইনফেকশন হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দেয় সেগুলো আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করেছি
এমন সমস্যা যদি আপনার দেখা দেয়। তাহলে খুব দ্রুত আপনি আপনার নিকটতম হাসপাতাল
অথবা ক্লিনিক ভর্তি হবেন। তাহলে আপনার রোগ খুব দ্রুত সেরে যাওয়া সম্ভাবনা
থাকবে । কারণ রক্তে ভাইরাস আক্রমণ করলে আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস হার্ড সবকিছু
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। যা আপনার স্টক করা সম্ভবনা থাকে। এজন্য হাসপাতালে
যাওয়ার পরে প্রথমে তরল পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করাবেন ইনজেকশনে
মাধ্যমে। আপনার রক্তের চাপ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
অনেক সময় দেখা যায় রোগীর পোশাবের পরিমাণ কমে যায়। তা থেকেও সহজে বোঝা
যায় রক্তের স্বাভাবিক সঞ্চলতা নেই। তাছাড়া দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় । দেহে
অতিরিক্ত গরম হয়ে গেছে আবার এমন সময় ঠান্ডা হয়ে গেছে । এজন্য যখন
অতিরিক্ত দেহ গরম হয়ে যাবে। কোন গামছা দিয়ে বা ভিজিয়ে দেহ দুই থেকে চার বার
মুছিয়ে দেবেন। এবং যদি ঠান্ডা খুব বেশি লাগে তাহলে ল্যাপ বা কম্বল অর্থাৎ খেতা
দিয়ে রোগীকে ঢেকে রাখতে হবে। তাছাড়া অতিরিক্ত দেহ জ্বর হলে ফার্মেসিতে
থেকে নাপা এক্সট্র অথবা প্যারাসিটামল ঔষধ রোগীকে খাওয়াতে হবে ।
আর যদি বেশি সমস্যা হয় তাহলে ডাক্তারের চিকিৎসা নিতে হবে। রক্তে ইনফেকশন দেহের
মধ্যে কোন জায়গা থেকে ভাইরাসটি ছড়াচ্ছে । সে জায়গাটি চিহ্নিত করতে হবে । এবং
সেই স্থানটি আগে চিকিৎসা নিতে হবে তাহলে রক্তের ইনফেকশন রোধ করা সম্ভব হবে
। এজন্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হবে এবং এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে হবে। আর যদি
ফুসফুসে বায়ু চলাচল স্বাভাবিক মাত্রা না থাকে যদি নিঃশ্বাস নিতে এবং ছাড়তে কষ্ট
হয় তাহলে অক্সিজেন চালু রাখবেন। তাহলে রক্তের চাপ স্বাভাবিক হবে এবং কোন সমস্যা
হবে না।
এবং ত্বকে ফোড়া অতএব কোন ক্ষতস্থানে পূজ এবং রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে সেই স্থান
থেকে। সে জায়গাটি পরিষ্কার করে রাখবেন। এতে সেই স্থানের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের
আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
রক্তের ইনফেকশনের রোধে প্রাকৃতিক উপায় জেনে রাখুন
প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তের ইনফেকশন রোধ করা সম্ভব। এইজন্য নিজেকে সতর্ক হতে
হবে এবং সঠিক খাদ্য সেবন করতে হবে । সুষম ভিটামিনযুক্ত খাদ্য দেহের জন্য বেশি
উপকারী। কারণ ভিটামিন যুক্ত খাদ্যই থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালারি। যা দেহের
সমস্ত কোষ কে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখে। কারণ অনেক সময় দেখা যায়
ভুলভাল খাদ্য খাওয়ার কারণে দেহের বিভিন্ন অংশে সমস্যা হয়। যে খাদ্য খেলে রক্তের
ইনফেকশন রোধ করা যাবে যেমনঃ
আদা উপকারিতা-
আদা একটি শক্তিশালী খাদ্য এটি যদি নিয়মিত সেবন করা যায় তাহলে দেহের রোগ
প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এবং দেহের বিভিন্ন অংশকে শক্তিশালী করে তাছাড়া
রক্তের শিরা পরিষ্কার করে। রক্তে চলাচল করতে কোন সমস্যা হয় না। রক্ত শরীরে
কোর্সগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য আদা কাঁচা বেতে রস করে খাবেন অথবা লাল চা এর
সাথে খাবে। প্রতিদিন সকালে আদার রস খেলে ফলাফল ভালো পাওয়া যায়। এটি নিয়মিত
সেবন করার ফলে রক্তের কোন ভাইরাস অথবা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারেনা।
নিমপাতা মানব দেহের জন্য বেশ কার্যকরী। ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস আক্রমণ করার
থেকে রোধ করে । নিম পাতা নিয়মিত ব্যবহার করলে দেহের কোন অংশের কোন রোগ
সংক্রমণ ঘটাতে পারে না। নিম পাতা প্রতিদিন সকালে রস করে খেতে হবে। তাহলে
ভালো হবে আর যদি মনে করেন। রস করে খেতে না পারেন তাহলে নিমপাতা বেতে বড়ি
বানাবেন। এবং সেই বড়ি রোদে শুকিয়ে ভালো করে যত্ন করে রাখবেন।
প্রতিদিন সকালে বাসি পেটে দুই থেকে একটি খাবেন তাহলে রক্তের ইনফেকশন রোধ
করা সম্ভব হবে।
আমলকির উপকারিতা-
আমলকি রস রক্তের পরিষ্কার করতে বেশ কার্যকরী । এজন্য আমলকির ফল অথবা রস করে
খেতে পারে। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তের ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস থেকে রক্ষা
পাওয়া যাবে।
তেতুল এর উপকারিতা-
মানব দেহের রক্ত পরিষ্কার করতে তেতুল বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে। তেতুল রক্তের
কোন ক্ষয়ক্ষতি হতে দেয় না। এজন্য মাঝেমধ্যে তেতুল খেতে হবে রান্না করার
খাওয়ার চাইতে কাঁচা খাওয়া বেশি উপকারী। এজন্য তেতুল লবণ দিয়ে অথবা ঝালাই
করে খেতে হবে। তাহলে রক্তের ইনফেকশন রোধ করা সম্ভব হবে।
হলুদের উপকারিতা-
রক্তের মান বৃদ্ধ করে তাছাড়া রক্তের রং গারো করে। এইজন্য হলুদ নিয়মিত
অতএব মাঝেমধ্যে প্রত্যেকটা মানুষের জন্য উপকারী। কাঁচা হলুদ খেতে হবে
খাওয়ার নিয়ম গরম দুধ অথবা পানি গরম করে । তার সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন
দুই থেকে এক চামচ কাঁচা হলুদের রস।
কালাজিরা উপকারিতা-
কালোজিরা মানব দেহের সকল রোগের একমাত্র ঔষধ। কালোজিরা প্রতিদিন ঘুমানোর আগে
সেবন করতে হবে। এবং সকালে বাসি পেটে তাহলে দেহের কোন রোগ প্রবেশ করতে পারবে
না।
মধু উপকারিতা-
মধু খেলে মারাত্ম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ মধুতে আছে আছে শেফা।
প্রতিদিন নিয়মিত সেবন করতে হবে তাহলে ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া
যাবে। ঘুমানোর আগে দুই থেকে তিন চামচ এবং ঘুম থেকে সকালে ওঠার পরে দুই থেকে
তিন চামচ। এভাবে প্রতিদিন খেতে হবে তাহলে রক্ত নালী পরিষ্কার থাকবে। রক্ত
চলাচলে কোন বাধা পড়বে না। এতে রক্তের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না
রসুন খাওয়ার উপকারিতা-
প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিন কোয়া করে রসুন খাববেন এতে ব্যাকটেরিয়া
প্রতিরোধ শক্তিশালী ভিটামিন রয়েছে। যা আপনার দেহে রক্তের বেশ প্রভাব ফেলে
রক্ত পরিষ্কার রাখে।
রক্ত ইনফেকশন রোধ করতে সুষম এবং ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ
রক্ত ইনফেকশন দ্রুত রোধ করতে সুষম ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাওয়া
প্রয়োজন। দেহ বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এজন্য খাদ্যের দিকে বেশি
করে নজর দিতে হবে। অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খেতে হবে।
এজন্য খাদ্য তালিকা রাখতে হবে ফলমূল শাক-সবজি আমিষ শতকরা জাতীয়
খাদ্য।
ফলের মধ্যে খাবেন
আঙ্গুর ফল
পেঁপে
আপেল
কলা
জলপাই
কমলালেবু
পেয়ারা
তরমুজ
বাঙ্গি
কুল
আনারস
গোলাপজাম
কামরাঙ্গা
তেতুল
সবেদা
কদবেল
শাকসবজি মধ্যে খাবেন
পালং শাক
পুঁইশাক
কচু শাক
ফুল শাক
বাঁধাকপি
ফুলকপি
ধনিয়া পাতা
সিম
গাজর
খিরা
টমেটো
কাঁচা কদমে
লাউ
আমিষ শতকরা খাদ্যের মধ্যে পড়ে
মাছ
মাংস
দুধ
ডিম
ডাল
সয়াবিন
টোফু
বাদাম
চর্বি
দই
রক্ত ইনফেকশন রোধ করতে ব্যায়াম করা প্রয়োজন
মানুষের শরীরের যে কোন রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
প্রতিদিন ব্যায়াম করা একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রয়োজন । নিয়মিত ব্যায়াম
করলে শরীরের যেকোনো রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলে ব্যায়াম মানুষের দেহে এক ধরনের
ক্যালরি সৃষ্টি করে । সেটি ঘামের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে যায়। এর ফলে দেহের
যেকোনো রোগ জীবাণু থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া দেহের প্রত্যেকটা শিরা
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এতে রক্তের পরিষ্কার হয়। এজন্য ব্যায়াম করতে
হবে ব্যায়াম করলে রক্তে ইনফেকশন হওয়ার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তাছাড়া এমন কিছু কাজ করে থাকি আমরা। যেমন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করি
না। কারণ একজন স্বাভাবিক মানুষের প্রতিদিন.৯ থেকে.১০ গেলাস পানি পান করতে
হবে। তাহলেও রোগ থেকে নিরাশ পাওয়া যেতে পারে । এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ না
ঘুমানো কারণ। আমরা বেশিরভাগ সময় সঠিক সময় ঘুমায় না। ঘুম মানুষের সকল রোগ
থেকে নিয়ন্ত্রণ রাখে । এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮
ঘন্টা ঘুমাতে হবে তাহলে কিছু মারাত্মক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে
পারে।
লেখকের শেষ কথাঃ রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয়
রক্তে ইনফেকশন হলে কি করনীয়। রক্তের ইনফেকশন কি কারণে হয় হয়তো বা
আর্টিকেল এর মধ্যে আপনি বুঝতে পেরেছেন । তাছাড়া রক্তের ইনফেকশন থেকে
মুক্তি পেতে হলে কি কি কাজ করতে হবে। এবং কি খাদ্য সেবন করতে হবে তাছাড়া
রক্তে ইনফেকশন হলে কিভাবে বুঝবেন । রক্তের ইনফেকশনের চিকিৎসা কিভাবে
নিবেন এই সমস্ত বিষয়ে আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করা হয়েছে।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনার রক্তে ইনফেকশন বিষয়ে ধারণা হয়ে থাকে বা আপনার
উপকার হয়। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার প্রিয়জন অতএব বন্ধু-বান্ধব
আত্মীয়-স্বজনদের মাঝে শেয়ার করবেন। এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য আপনাকে
অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url