স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব। স্বাস্থ্য ও
প্রত্যেকটা মানুষের এমনই একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য
প্রতিনিয়ত নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। তবুও এক পর্যায়ে দেখা যায় স্বাস্থ্য
ভালো থাকেনা শরীরের ভিতরে দুর্বল অশান্তি মানসিক চাপ বেড়ে যায়।
সুষম পুষ্টি ভিটামিনযুক্ত খাদ্য প্রতিদিন নিয়মিত খেতে হবে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে
। চলুন জেনেনি কি ভাবে স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়। এ ব্যাপারে জানতে হলে
আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো
স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি আসলে সুস্থ সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে হলে
স্বাস্থ্য প্রয়োজন। প্রত্যেকটা মানুষের অমূল্য সম্পদ হচ্ছে স্বাস্থ্য।
অনেকে শরীরে অফুরন্ত যত্ন নিয়ে স্বাস্থ্য পাছছে না। আবার কেউ নিজের প্রতি যত্নই
না নিয়ে স্বাস্থ্য ভালো হচ্ছে।আসলে স্বাস্থ্য মহান আল্লাহতালার
দান। তারপরও স্বাস্থ্যের প্রতি নিজে সতর্ক হতে হবে । স্বাস্থ্যের দিকে নজর
দিতে হবে প্রতিদিন ভিটামিন যুক্ত খাদ্য সেবন করতে হবে। অনেকেই দেখা যাচ্ছে
স্বাস্থ্য দিকে যত্নশীল হচ্ছে তবুও সেই ভাবে নিজের প্রতি খেয়াল
রাখতে পারছে না।
ঠিকমতো খাদ্য সেবন করছে না পর্যাপ্ত ঘুমাছেনা। পর্যাপ্ত পরিমাণ
ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাচ্ছে না। এসব কারণে স্বাস্থ্য দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
এজন্য স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই প্রত্যেকদিন নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে
এবং শাকসবজি ফলমূল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
ব্যায়াম করা ফলে শরীরে ঘামের মাধ্যমে এক ধরনের ক্ষতিকর ভাইরাস শরীর
থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য
ভালো রাখা অনেকগুলো মাধ্যম আছে । সে মাধ্যমগুলো পর্যায়ক্রমে আলোচনা করেছি
আর্টিকেলে।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাওয়া
স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি বিস্তারিত। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে অবশ্যই ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খাওয়া প্রয়োজন কারণ
ভিটামিনযুক্ত খাদ্য খেলে দেহশক্তি বৃদ্ধি পায় এতে দেহর রক্ত চলাচল চাপ বেড়ে
যায় যার ফলে দেওয়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এই জন্য আমাদের প্রত্যেকদিন সুষম
প্রোটিন আমিষ এবং ক্যালারি যুক্ত খাদ্য খেতে হবে তাহলে দেহ সুস্থ-সেবল থাকবে।
সুস্থ দেহ পেতে হলে মাছ মাংস ডিম দুধ খেতে হবে। এবং প্রতিদিন খাবার তালিকায়
শাকসবজি জাতীয় খাদ্য বেশি রাখতে হবে কারণ শাকসবজিতে আছে ভিটামিন এ । প্রত্যেক
মানুষের দেহে শক্তি সরবরাহ করে এজন্য ভিটামিনএ যুক্ত খাদ্য বেশি খেতে হবে ।
ফলের মধ্যে খাবেন
পেয়ারা
কমলালেবু
আঙ্গুর ফল
ডালিম
বেদনা
জল পায়
মিষ্টি আলু
কলা
পেঁপে
শাকসবজির মধ্যে খাবেন
লালশাক
ফুল শাক
কচুর শাক
ফুলকপি
সিম
পাতাকপি
মিষ্টিকুমড়া
কলমি শাক
গাজর
টমেটো
খিরা
ধনিয়া পাতা
পালন শাক
পুঁইশাক
ওলকপি
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করা বেশি উপকার পাওয়া যায়। ব্যায়াম
করলে মানুষের শরীরে ঘামের সঙ্গে এক ধরনের ক্যালরি দেহ থেকে বেরিয়ে যায় ।
এবং দেহের হরমোন ঘাটতি থাকলে খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ
বাড়িয়ে দেয় এবং দেহ সুস্থ সেবলও সুন্দর রাখে। ব্যায়াম প্রত্যেকটা
মানুষের জন্য উপযোগী। প্রতিদিন সকালে ১-২ কিলো হাটবেন এবং ব্যায়াম করার যে কৌশল
আছে সেই কৌশল অবলম্বন করবেন।
প্রতিদিন ব্যায়াম করার ফলে দেহই এক ধরনের শক্তি উৎপাদন হবে। এবং দেওর
প্রত্যেকটা শিরায় শিরায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে। এবং হাত-পায়ে মাংসপেশীর বল
বা শক্তি সরবরাহ করে সরবরাহ করে। দেখা যায় অনেকে হাঁটতে পারে না।
বসতে পারেনা। শিরা তান ইয়ান এবং ডাইবাটিস । তাদের জন্য প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম
করা প্রয়োজন।
সময় করে ঘোরাঘুরি করুন
সময় করে ঘোরাঘুরি করাটাই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী.। অনেক সময় মানুষ
যে কাজের মধ্যে ডুবে থাকে অনেক চাপ ধৈর্য ও মাথায় বেরেন খাটিয়ে করে। তার মাঝে
নিজেকে একটু আনন্দ উপভোগ করার জন্য দিনে সময় বের করে ঘোরাঘুরি করুন এমন জায়গায়
ঘুরবেন যেখানে গেলে মন ভালো হয়। মন ভালো হলে স্বাস্থ্য ভালোাহবে।
এজন্য প্রাকৃতিক মাঝে ঘোড়ায় সবচেয়ে ভালো। মাছঘাট বন জঙ্গল এমনকি নদী নালা খাল
বিল এমন প্রাকৃতির মাঝে ঘুরে আসবেন তাহলে মন ভালো থাকবে তাছাড়া বন্ধুদের সাথে
কোন রেস্টুরেন্ট বা চায়ের দোকান আড্ডা দিবেন এবং চা পান করবেন। তাহলে দেখবেন
আপনার মন ভালো থাকবে ওর শরীরের কিছু সময়ের জন্য টেনশন আলসে থেকে মুক্তি পাবেন।
নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে
ঘুম মানুষের সকল রোগ থেকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়মিত না
ঘুমালে শরীরে বিভিন্ন রোগে বাসা বাঁধে। এজন্য সঠিক সময় সঠিক নিয়মে ঘুমাতে হবে।
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে । প্রতিদিন সময় মত ঘুমাতে হবে। তাহলে
স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না। অনেকেই দেখা যায় রাত ১- ২ পর্যন্ত চেতন থাকে। এ
সময় দেখা যায় তার দেহ দুর্বল থাকে এবং চেহারার উজ্জ্বলতা কমে যায়।
এবং চোখের নিচে কালচে পড়ে যায় । নিয়মিত না ঘুমালে এমন নানান ধরনের রোগ দেহের
মধ্যে প্রবেশ করবে। যার ফলে দেহ সৌন্দর্য আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যা। এজন্য
প্রত্যেকটা মানুষের সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। তাহলে দেহ সুন্দর এবং
সুস্থ সবল থাকবে।
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই দরকার। নিয়মিত
সঠিক সময় পানি পান করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কোন রোগবালা আক্রমণ করতে পারে না।
দেহ সতেজ থাকে কারণ আমরা জানি পানির অপর নাম জীবন। প্রত্যেকটা মানুষের পরিমাণ মত
পানি পান করা জরুরী। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করলে কিডনি লিভার ক্ষতি
হতে পারে ।
কিডনি লিভার পানির উপরে ভেসে থাকে। যার ফলে কোন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ করতে
পারেনা। প্রত্যেকদিন একজন স্বাভাবিক মানুষ ৮ থেকে ৯ লিটার পানি পান করতে
হবে। তাহলে দেহ ই কোন রোগবালার আক্রমণ করতে পারবে না।
যে খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন
সুস্থ সবল ভাবে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়মিত খাবার খাওয়া
প্রয়োজন। অবশ্যই খাদ্য দেখে শুনে খেতে হবে । ভুলভাল খাদ্য খেলে দেহর ক্ষতি
হতে পারে । খাদ্য স্বাস্থ্যের উপর অনেক প্রভাব ফেলে এজন্য আমাদের খাদ্য তালিকায়
অবশ্যই সুষম পুষ্টিকর যুক্ত খাবার রাখতে হবে। তা খেতে হবে প্রতিদিন নিয়মিত।
তাহলে দেহের বা স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি হবে না। কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে
হবে। যেমন চর্বি জাতীয় খাদ্য খাওয়া যাবে কিন্তু পরিমাণ মতো খেতে
পারেন।
এবং চিনি আমরা জানি চিনিতে প্রচুর পরিমাণ সুগার বাড়ে। চিনি মানুষের ডাইবেটিস
বাড়িয়ে দেয় স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এজন্য চিনি খাওয়া যাবে পরিমাণ মতো
খেতে হবে । বেশি খেলে স্বাস্থ্য ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত তেল বা মসলা জাতীয়
খাদ্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । অবশ্যই অতিরিক্ত মসলা এবং তেল জাতীয়
খাদ্য এড়িয়ে চলবেন। তাছাড়া বাইরের ভাজাপোড়া কোন খাদ্য বেশি খাবেন না। খাবেন
নিয়ম মাপে যা আপনার দেহর বা স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি না হয়।
নেশা এবং ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
স্বাস্থ্য এমনই একটি সম্পদ প্রত্যেকটা মানুষের স্বাস্থ্য যদি টিকিয়ে রাখতে হয়
অবশ্যই স্বাস্থ্যের দিকে নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সঠিক সময় সঠিক খাদ্য সেবন
করতে হবে । অনেকেই দেখা যায় সুস্থ সবল স্বাস্থ্য থাকার পরও স্বাস্থ্য দুর্বল
হয়ে যায় । এর কারণ বোঝা যায় অতিরিক্ত নেশা বা ধূমপান করার ফলে এই সমস্যারা
ঘটে। অনেকে আবার দেখা যায় নেশা জাতীয় বরি বা পানি পান করে এতে দেহের ভেতরে
একটি ভাইরাস সংকরণ ঘটে বা আক্রমণ করে ।
দেহের বিভিন্ন কোষ নষ্ট করে দেয় ফলে দেহ কোন উন্নতি ঘটে না । এজন্য নেশা
জাতীয় পানি অথবা ধূমপান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হয়
তাহলে এসব দ্রব্য খাওয়া থেকে অবশ্যই বিরত থাকা প্রয়োজন । তা না হলে স্বাস্থ্য
কোনদিনও ভালো হবে না । যতই আপনি সুষম ভিটামিন যুক্ত খাদ্য খান। কারণ কোন
ভিটামিন বা পুষ্টি দেহর কোন উপকারেই আসবেনা । নেশা জাতীয় খাদ্য স্বাস্থ্যর জন্য
বেশ ক্ষতিকার।
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য মানসিক চাপ কমানো
স্বাস্থ্য ভালো রাখার একমাত্র উপাই হচ্ছে মানসিক চাপ কমানো। যদি সব সময় মানসিক
চাপ টেনশন বেড়াই থাকে তাহলে স্বাস্থ্য ভালো থাকা ইম্পসিবল। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
হলে অবশ্যই মানসিক চাপ কমাতে হবে । মানসিক চাপ কমাতে অনেকগুলো নিয়ম আছে তার
মধ্যে থেকে কিছু নিয়ম তুলে ধরছি। যখন অতিরিক্ত টেনশন মধ্যে পড়বেন অবশ্যই নিজেকে
একা কোনো একটা জায়গায় নিরিবিলি সময় কাটাবেন ।
এবং নিজের পছন্দমত খেলাধুলা করবেন। তাছাড়া নিজের বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি
করলে মানসিক চাপ কমানে সম্ভব। মানসিক চাপে পারলে অতিরিক্ত রক্তের চাপ
বেড়ে যায় । যার ফলে হার্ড স্টোক অথবা বেরেন স্টক হতে পারে। এর থেকে আপনার
মৃত্যু হতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে হলে টেনশন করা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।
অতিরিক্ত টেনশন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
লেখক এর কথাঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি
স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি এই ব্যাপারে আর্টিকেল এর মধ্যে
ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছি। স্বাস্থ্য প্রত্যেকটা মানুষেরই একটা বিশেষ অংশ।
স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে তাহলে মন ভালো থাকে না। এজন্য স্বাস্থ্য বিষয়ে অনেক
কিছুই আলোচনা করেছি।
আপনি হয়তো বা আর্টিকেল এর মধ্যে যে বিষয়ে আলোচনা করেছি । এই বিষয়গুলো যদি
মেন্টেন করে চলেন অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে। এবং দেহ সুন্দর সুস্থ
সবল থাকবে। এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url