প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে জেনে নিন

প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে না জানলে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হওয়া অসম্ভব। প্রধান শিক্ষক হওয়া মানে স্কুলের সকল দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেওয়া। স্কুলের যত ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা সবার খেয়াল বা দায়িত্ব বহন করে একজন প্রধান শিক্ষক। তার কথা মত স্কুলের নিয়ম কারণ মেনে চলা। প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। প্রাইমারির শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে সেই ব্যাপারে এই আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করব। 

প্রাইমারি-প্রধান-শিক্ষক-হতে-কি-যোগ্যতা-লাগে

আপনি ঠিক জায়গায় এসে পড়েছেন এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে বুঝতে পারবেন। প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি কি প্রয়োজন পড়ে বা লাগে এবং প্রাইমারি প্রধান শিক্ষকের বেতন কেমন এবং সাধারণ শিক্ষকের বেতন কেমন এবং প্রধান শিক্ষক হতে কি কি ধাপ অবলম্বন করতে হয়। সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে এবং জানতে পারবেন। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে

প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে

প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে। এই ব্যাপারে আর্টিকেলের মধ্যে আলোচনা করছি প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে পারলে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সরকারের অধীনে থাকবেন। আপনাকে সরকার বহন করবে । এবং চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে  টাকা পাবেন। এজন্য আমাদের দেশে অনেকেই প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক অথবা সাধারণ শিক্ষক হওয়ার জন্য অফুরন্ত চেষ্টা করছে। কিন্তু দেখা যায় দেশে ৫০০০ শিক্ষক নিয়োগ দিলে সেখানে এমন ৫ লক্ষ আবেদন করে। যার ফলে অনেকেই বাদ পড়ে যায়।

এজন্য সঠিক নিয়ম জানলে চাকরি পেতে পারেন। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে যেখানে ৫ হাজার শিক্ষক বা শিক্ষিকা নেবে সেখানে যদি এক লক্ষ আবেদন হয়। তাহলে তার মধ্যে থেকে চাকরি পাওয়া বিরাট ব্যাপার। প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমেও হওয়া যায় । আবার সাধারণ শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়া যায়। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হতে পারছে যারা অনেকদিন ধরে শিক্ষকতা করছে। এবং নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পাচ্ছে। প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক হতে হলে বয়স কমপক্ষে ২১ থেকে ৩০ বছর থাকতে হবে। 

এবং মুক্তিযোদ্ধা বা অন্যান্য  কোটার ক্ষেত্রে এক বছর বেড়ে ৩২ হতে পারে। এবং প্রাইমারির স্কুলের ৬-৭ বছরের  শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তাহলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেতে পারেন খুব সহজে। এবং বাংলাদেশী নাগরিকতা থাকতে হবে। আগে এইচএসসি পাশে প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করা যেত কিন্তু এখন বর্তমান যুগে এইচএসসি পাশে প্রাইমারির সাধারণ শিক্ষক দায়িত্বও পাওয়া যাচ্ছে না।

পোস্ট সূচিপত্রঃ স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায় গুলো কি কি জেনে নিন

প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি পাস অনার্স ফার্স্ট ক্লাস এবং সিজিপিএ সেকেন্ড ক্লাস অথবা ফার্স্ট ক্লাস হতে হবে। প্রধান শিক্ষক হয়ে বেতন ভালো পেতে হলে অবশ্যই বিসিএস সম্পূর্ণ করতে হবে। তাছাড়া বিসিএস ক্যাডার হয়ে প্রধান শিক্ষকের জন্য আবেদন করলে সহজে চাকরি পাওয়া সম্ভব এবং সেই চাকরি খুব মজবুত হবে।

প্রাইমারি সাধারণ শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা

প্রাইমারি সাধারণ শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা পেতে হলেও কিছু নিয়ম-নীতি আছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। এবং জানতে হবে কি কি নিয়মে আবেদন করলে শিক্ষক বা শিক্ষিকা হওয়া যাবে। সাধারণ শিক্ষক হিসাবে আবেদন করে বেশি সংখ্যক লোক। প্রধান শিক্ষকের হওয়ার জন্য তেমন একটা মানুষ আবেদন করে না। প্রাইমারি স্কুলে সাধারণ শিক্ষক হলে একপর্যায়ে বহুদিন শিক্ষকতা করা ফলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব। 

প্রাইমারি স্কুলের  প্রধান শিক্ষকের স্কুলের সমস্ত কাজকর্মের উপর দায়িত্ব থাকে তেমনি সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও যে কোনো কাজকর্মের প্রতি অধিকার থাকে। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের চাইতে সাধারণ শিক্ষকের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি দায়িত্ব বেশি থাকে। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ বইয়ের সৃজনশীল ধারণা দিয়ে নৈতিকতা সামাজিক দক্ষতা  সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলে।

প্রাইমারি সাধারণ শিক্ষক হওয়ার যে যোগ্যতা গুলো থাকতে হবেঃ

  • প্রাইমারির সাধারণ শিক্ষক এর যোগ্যতা হতে হবে ২১ থেকে ৩০ বছর। নারী-পুরুষ ও উভায়ের ক্ষেত্রে সমান। তাছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর।
  • এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী পাস। তাছাড়া বিসিএস সম্পূর্ণ করা থাকলে ভালো হবে। এবং অনার্স ফার্স্ট ডিভিশন এবং সেকেন্ড ডিভিশন থাকতে হবে। ন্যূনতম  দ্বিতীয় শ্রেণীর এবং সমমানের সিজিপিএ  ৪-০০ স্কেলে থেকে ২-২৫ এবং ৫-০০ স্কেলে থেকে কমপক্ষে ২.৮ স্কেল থাকলে সবচেয়ে ভালো হবে।
  • প্রাইমারি চাকরির ক্ষেত্রে মেয়েদের কমপক্ষে ৪০% এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২০% আর কোটার ক্ষেত্রে ২০% এই নিয়ে মোট ১০০% থাকে।
  • রিটেন এবং ভাইভা পরীক্ষার ক্ষেত্রে  ৮০ নাম্বার। এর মধ্যে ছেলেদের কমপক্ষে ৬০-৭০ নাম্বার পেতে হবে এবং তাহলে চাকরি পেতে পারেন। প্রাইমারির চাকরির মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় আছে মেয়েদের ৮০ নম্বরের মধ্যে ৫০ নম্বর পেলেই চাকরি কনফার্ম।
  • অবশ্যই আপনাকে ষষ্ঠ সপ্তম অষ্টম  দশম বাংলা ইংরেজি গণিত বিজ্ঞান আইসিটি প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দেয়ার জন্য পড়তে হবে। তাহলে লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক পরীক্ষা দিতে পারবেন।

বেসরকারি প্রাইমারি নিয়োগ এবং যোগ্যতা

সরকারি এবং বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলের নিয়োগ এবং যোগ্যতা কিছু ভিন্ন আছে। সরকারি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে চাকরি পেতে হলে অনেক ধাপ অবলম্বন করতে হবে। এবং বেসরকারি চাকরি পেতে হলে এমপি ভুক্ত সুপারিশে বা টাকা পয়সার ব্যবধানে চাকরি পাওয়া যাবে। সরকারীর চাকরির চাইতে বেসরকারি চাকরির বেতন কম। 

বেসরকারি চাকরি পেতে হলে কি কি প্রয়োজন সেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেলে আলোচনা করছি।বেসরকারি চাকরি দীর্ঘদিন করার পরে এক পর্যায়ে সরকারের অধীনে হয়ে যেতে পারে। এজন্য কোন চাকরি ছোট মনে করা যাবে না। অনেক জায়গায় দেখা যায় বেসরকারি স্কুল কলেজ সব সরকারের অধীনে হয়ে গেছে। 

  • বেসরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হতে হলেও এমপি ভুক্ত সুপারিশ নিলেও আপনাকে অবশ্যই শিক্ষাগত যোগ্যতা অনার্স এবং ডিগ্রী পাস করতে হবে।
  • টিআরসিএ অধীনে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা  হবে। এবং ১০০ নাম্বারের মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ নম্বর পেতে হবে। তাহলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
  • মেধা তালিকায় উৎপন্ন হলে প্রাথমিক ভাবে সুপারিশ করবে গোয়েন্দা সংস্থা ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে। এই ধাপগুলো পর্যায়ক্রমে পার করতে পারেন তাহলে আপনার চাকরি কনফার্ম হবে।
  • বেসরকারীর একজন শিক্ষকের প্রথম অবস্থায় বেতন হয় ১২-১৩ হাজার এবং পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবধানে বেশি হয়।

প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া

প্রাইমারির স্কুলের শিক্ষক হওয়ার জন্য অনেকেই মাস্টারস ডিগ্রী পাস করে চাকরির জন্য আবেদন করতে চাচ্ছে। অবশ্যই চাকরির জন্য আবেদন করার আগে খুব ভালোভাবে জেনেশুনে তারপরে চাকরির আবেদন করতে হবে। চাকরির আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র বা কোন ডকুমেন্ট ভুল হয়। তাহলে চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। চাকরিটা পাওয়া যেমন জরুরী তেমনি চাকরি পাওয়ার আগে কাগজ পত্র সংগ্রহ করা জরুরী। কাগজ পত্র অবশ্যই যাচাই বাছাই করে চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। বিভিন্ন সরকারের প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক পদের জন্য আবেদন করা খুব সহজ কারণ সম্পন্ন অনলাইন ভিত্তিক।

অনলাইনে আবেদনঃ আবেদন করার জন্য প্রথমে প্রাইমারির শিক্ষা অধিদপ্তরে  dpe.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এর মধ্যে প্রবেশ করলে আপনার সামনে ফরম পূরণ করার বিস্তারিত নির্দেশনা দেখতে পারবেন। তারপরে আপনার পার্সোনাল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট দিয়ে ফর্মটি সঠিক ভাবে দেখেশুনে পূরণ করতে হবে। এরপর ফর্মটি সাবমিট করতে হবে। সাবমিট করার পরে আপনার সামনে ফরম পূরণ করা আইডি সহ কপি করে নেওয়ার একটি অপশন চলে আসবে। তখন ফর্মটি কপি করে পিন্ট করে নিবেন। এরপর ভালো করে ফর্মটি যাচাই-বাছাই করে দেখবেন কোথাও কোন জায়গায় ভুল আছে কিনা। যদি কোন ভুল থাকে পরবর্তী আবার ফর্মটি পূরণ করবেন।

তথ্য যাচাই করাঃ ফর্মটি জমা দেওয়ার আগে অবশ্যই ফর্মটি সুন্দরভাবে পড়ে দেখতে হবে কোথাও ভুল আছে কিনা। যদি ভুল থাকে পুনরায় ফর্মটি পূরণ করতে হবে। তারপরে জমা দিতে হবে যদি ভুল তথ্য সহকারে ফর্ম জমা দেন তাহলে আপনার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না এবং ফর্ম জমা দেয়ার সময় ফি দিবেন সেটা কখনো ফিরে পাবেন না। এজন্য সঠিকভাবে দেখেশুনে ফর্ম পূরণ করবেন।

ফি জমা দেওয়াঃ তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করার পরে আবেদন করার সময় ফ্রি জমা দিতে হয় টেলিটক সিম ব্যবহার করতে হবে তা না হলে আবেদন ফি জমা দিতে পারবেন না। আবেদনের জন্য ফি জমা দিতে হয় ২০০ টাকা এবং তার সাথে অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা। মোট টাকা ২২০ টাকা জমা দিতে হবে। ফি জমা দিলে নিজের মোবাইল নাম্বারে ইউজারের আইডি এবং পাসওয়ার্ড সহ একটি এসএমএস আসবে। এরপর ওয়েবসাইটে যেতে হবে ওখান থেকে ডাউনলোডএপ্লিকেশন কপি ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। ওখান থেকে সম্পূর্ণ ফি জমা দেওয়া ফাইনাল অ্যাপ্লিকেশন কপি ডাউনলোড করে নিবেন। অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করে সংরক্ষণ করতে হবে।

পরীক্ষা ও প্রবেশপত্র সংগ্রহঃ আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। লিখিত পরীক্ষার নেওয়ার সময় হলে অবশ্যই আপনাকে মোবাইল নম্বরে এসএমএস এর মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার লিঙ্ক পাঠাবে। ওখান থেকে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে নিবেন। পরীক্ষার দিন অবশ্যই প্রবেশপত্র সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে পরীক্ষার হলে আপনাকে ঢুকতে দেবে না।
জরুরী কথাঃ অবশ্যই যে মোবাইল নাম্বার দিয়ে এসএমএস পাঠাবেন বা আবেদন করবেন অবশ্যই সেই মোবাইল নাম্বারটি সচলে রাখবেন কারণ পরীক্ষার সময় আসলে আপনাকে ওই মোবাইলের এসএমএস এর মাধ্যমে জানানো হবে। আপনার নিজ উপজেলা অথবা থানা স্থানীয় ঠিকানা ভিত্তি  নির্ধারিত করা হবে পরীক্ষার কেন্দ্র। বিশেষ কথা আবেদন ফি জমা দেয়ার পরে আর কোন তথ্য সংশোধনের সুযোগ সুবিধা পাবেন না। এজন্য আবেদন করার সময় অবশ্যই সঠিক তথ্য দিয়ে আবেদন করবেন ভালো করে দেখে শুনে।

প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টারের বেতন এবং সুযোগ সুবিধা

প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টারের বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা পায় অনেক। কারণ একজন হেডমাস্টার সাধারণ শিক্ষকের চাইতে বেতন বেশি পায়। সাধারণ শিক্ষক বেতন পায় ১১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৬ হাজার। সে তুলনায় একজন প্রাইমারি হেডমাস্টারে বেতন অনেক বেশি। প্রথম অবস্থায় একজন হেডমাস্টারের বেতন কম হলেও তা পরবর্তী বেড়ে যায়। একজন হেডমাস্টার কত টাকা বেতন পায় সেটা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা যায় না। স্কুলের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবধানে বেতন বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া প্রত্যেক বছর বছর বেতন বাড়ে।

হেডমাস্টার যে সুযোগ সুবিধা পায়ঃ 

সরকারী শিক্ষকদের পূর্ণবাসনের জন্য মোটা অংকের ঋণ নেওয়ার সুযোগ সুবিধা দেয়। এবং যতদিন চাকরি থাকবে এবং না থাকবে অর্থাৎ যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন সরকারের খাত থেকে স্বাস্থ্য বীমা এবং মাসিক পেনশন এর সুবিধা পাবেন। আপনি মারা যাবার পরে আপনার স্ত্রী এটা পাবে। এবং সরকার স্কুলের হেডমাস্টার কে নির্দিষ্ট বসবাসের জন্য স্থান নির্বাচন করে দেয়।

বিশেষ করে পুরুষের চাইতে মহিলাদের চাকরি সুবিধা বেশি দেয়। এবং প্রতি উৎসবের ভাতা পাবেন। অনেক সুবিধা আছে সেই সুবিধা গুলো পাবেন। যদি মনে করেন নিজের এলাকায় চাকরি করবেন তাও করতে পারবেন। কিন্তু নিজের এলাকার চাকরি করার সুযোগ মহিলাদের বেশি পুরুষের একটু কম।

লেখকের শেষ কথাঃ প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে

প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে হয়তোবা এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ে বুঝতে বুঝতে পেরেছেন। প্রাইমারির শিক্ষক হতে হলে অবশ্যই মাধ্যমিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করতে হবে এবং অনার্স ফার্স্ট ডিভিশন এবং সেকেন্ড ডিভিশন উত্তীর্ণ হতে হবে।  তাহলে প্রাইমারি  শিক্ষক নিয়োগ আবেদন করতে পারবেন। অবশ্যই সাধারণ শিক্ষক হতে হবে কমপক্ষে ৫-৭ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। তাহলে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেতে পারেন।

তাছাড়া প্রধান শিক্ষক হতে হলে অনেক দূর লেখাপড়া করা লাগবে। অতএব বিসিএস সম্পূর্ণ করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করতে পারবেন।  এই আর্টিকেলে প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক হতে কি যোগ্যতা লাগে এই ব্যাপারে আলোচনা এবং বিশ্লেষণ করেছি। আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার উপকার হয়। তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার পছন্দের বন্ধু-বান্ধবের মাঝে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url