ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান


ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান। অল্প বয়সে চুল পাকা মানে বিরাত একটা টেনশনের মধ্যে পরা। আসে পাশে তাকালে দেখা যায়। অনেকের পরিপূর্ণ বয়স না হতেই মাথার চুল সব সাদা হয়ে গেছে।অল্প বয়সে চুল পাকে গেলে সমাজের মানুষ তাকে নিয়ে হাসাহাসি এবং টিটকারি মারে। 

ছেলেদের-অল্প-বয়সে-চুল-পাকার-সমাধান

চুল কলব করলে পরিপূর্ণ কালো হয় না। সাদা ভাব থেকে যায়। ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান নিয়ে এই আর্টিকেলের  মধ্যে আলোচনা করব। এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়লে আপনার অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে পারবেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান

ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান

দিনের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের ও পরিবর্তন হচ্ছে। আগে দেখতাম বা শুনতাম ৪০-৪৫ বয়স হলে নাকি অল্প কিছু করে চুল পাকা শুরু হতো। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে তার উল্টা। ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে চুল পেকে যাছে। বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা যাছে পরিপূর্ণ ভিটামিন যুক্ত খাদ্য না খাওয়া। চুলের যত্ন না নেওয়া।

আরো পড়ুনঃ কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়

সেলেনিয়াম নামে একটি ভিটামিন আছে। যা চুলের রঙ সঠিক ভাবে নির্ধারণ করে রাখে। যখন সেলেনিয়াম উপাদন পরিপূর্ণ  হয় না। তখন চুলের রঙ সাদা হয়ে যায়। আবার অনেকে চুলে কলব ব্যবহার করে। এক পর্যায় চুলে কলব ব্যবহার করার কারনে মাথার চামড়ায় অ্যালার্জি বেড়ে ঘা হয়। ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান নিয়ে ধারাবাইক ভাবে আলোচনা করব। নিচে খাদ্য এবং ব্যবহার।

  • আয়োডিন যুক্ত খাবার খেতে হবেঃ অল্প বয়সে চুল পাকা থকে মুক্তি পেটে  হলে অবশ্যয় আয়োডিন যুক্ত  খাদ্র খেতে হবে। আয়োডিন যুক্ত খাবারে মিনারেল ভিটামিন তৈরি করে। সে মিনারেল ভিতামিন চুলের কালো রঙ ধরে রাখে। যখন মিনারেল ভিটামিন পরিপূর্ণ তৈরি হয় না। তখন চুল সাদা হতে থাকে। এই জন্য প্রতিদিন আয়োডিন যুক্ত  খাদ্রা সময় মত খেতে হবে। যে চুল সাদা হয়ে গেছে। সেই চুল ধিরে ধিরে কালো হয়ে যাবে। এই জন্য নিয়মিত খাদ্রা তালিকাই রাখতে হবে । যেমন, কলা,পেপে,খিরা,গাজর, পুঁইশাক,পালংশাক, লালশাক, ছোটো মাছ।
  • ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেতে হবেঃ ভিটামিন বি যুক্ত খাবার খেলে খুব সহজে চুল পাকা রোধ করা জাবে।ভিটামিন বি,ভিটামিন ডি ভিটামিন সি, দেহর জন্য যে মন উপকার করে। তেমনি চুলের জন্য উপকার করে। চুলে পরিপূর্ণ পষ্টি  এবং শক্তি যোগায় । চুল ঘন করে। চুলের আদ্রতা বজাই রাখে। খাবার তালিকাই ভিটামিন যুক্ত খাদ্য অবশ্যই রাখতে হবে। যেমন, ডিম, গরুরকলিজা, দুধ, কমলা লেবু সরবরত, বেলের শরবত, কড মাছের তেল, ছোট মাছ, মাশরুম, দুধের ঘি, সামুদ্রিক মাছ, দই ,ইত্যাদি।
  • পিয়াস বেটে রস চুলে লাগাতে হবেঃ আমরা জানি চুলের জন্য পিয়াজ এর উপকার অনেক বেশি। পাকা চুলের জন্য পিয়ে জের গুরত বেশি দেয়ে দরকার। পিয়াজ বেতে নিয়মিত চুলে লাগালে। চুলের ভিটামিন এবং হরমন ঘাতি পরন করে। চুল শক্তি করে এবং সতেজ রাখে। পিয়াজের রস.১০ থেকে ১৫ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখতে হবে। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে  ভালো করে পরিস্কার করতে হবে। সপ্তাই ৩দিন পিয়াজের রস নিয়মিত চুলে ব্যবহার  করার ফলে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।
  •  পরিপূর্ণ ঘুমাতে হবেঃ পরিপূর্ণ ঘুম যদি না হয়। তাহলে শরীরের বিভিন রোগে বাসা বাধে।মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। দেহ দুর্বল হয়ে পরে। এ তে  শরীরে বিভিন্ন অংশের হরমন নষ্ট হয়ে যায়।  ফলে অকালে চুল পেকে যায়। এই জন্য পরিপূর্ণ ঘুমাতে হবে।  ছোট বড় প্রত্যেক মানুষের ঘুমের কোন ঘাটতি রাখা যাবে না ।
  • সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবেঃ সেলেনিয়াস মানুষের দেহ জন্য বিশেষ ভুমিকা রাখে। কারন সেলেনিয়াস আছে  বিভিন্ন প্রকারের মিনারেল।  সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার ফলে চুল  লম্বা এবং ঘন কালো হবে। তাছাড়া পাকা চুল রোধ করবে। চুলে পরিপূর্ণ ভিটামিন পাবে। সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবার নিয়মিত খেতে হবে। চুলের ক্ষতিকর ভাইরাস থেকে রক্ষা করে। সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে র মধ্যে পরে যেমন, জিএল মাছ,পুটি মাছ, ইলিশ মাছ,স্যামন ফিশ, আখের গুর অথবা রস, কিসমিস ইত্যাদি
  • আমলকি রসঃ আমলকী রস অকাল চুল পাকা থে কে মুক্তি দিতে পারে। আমলকী চুলের পরিপূর্ণ পষ্টি বাড়াতে সহতা করে। আমলকীতে ভিটামিন মেলেনিয়াম থাকায় চুল ঘন কালো লম্বা হয়। পাকা চুল থাকলে ব্যবহারে ফলে ধিরে ধিরে সাদা চুল কালো হয়ে যায়। আমলকীর রস ২-৩ দিন ব্যবহার করুন। ব্যবহার করার সময় অবশ্যই চুলের গুড়াই ভালো ভাবে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। এর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। কিছু দিনের পাকা চুল কমে গেছে।
  • মেহেদি ঃ চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে কোন কমতি নেই। মেহেদী পাতা চুলের রঙ নির্ধারণ করে রাখে। চুলের গুরা শক্ত করে। চুলে পরিপূর্ণ পষ্টি সরবাহ করে। মেহেদি বেতে নিয়মিত ব্যবহার করলে। পাকা চুলের  সৌন্দর্য বাড়বে এবং কিছু দিনের মধ্যে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।
  • বাদাম ও ছোলাঃ বাদাম ও ছোলা যে মন শক্তি শালী খাদ্য। তেমনি বাদাম আর ছোলাই আছে পচুর পরিমান ভিটামিন এবং শতকরা ,মিনারেল। চুল সুরক্ষা রাখতে বাদাম ও ছোলা কার্যকারিতা বেশি থাকে।  মিনারেল থাকার কারনে চুলের হরমন ঠিক রাখে এবং হরমন ঘাটতি হতে দেয়না। এই জন্য নিয়মিত বাদাম ও ছোলা সেবন করলে। অকালে চুল পাকা রোধ করা সম্ভাব হবে।
  • কিসমিসঃ কিসমিস ভিটামিন জাতিও শক্তি শালী খাদ্র। প্রত্যেক দিন সকালে খালি পেটে হবে। কিসমিস দেহর বিভিন্ন রোগ সমাধান করে থাকে। চুলের পরিপূর্ণ পুষ্টি না থাকায়। চুল সাদা হয়ে যায় । কিসমিস চুলের হরমন নিয়ন্ত্রণ করে রাখে। চুল পাকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চুল পাকা বন্ধ করার তেল 

আজকাল আমাদের চারপাশে দেখতে পাই পরিপূর্ণ বয়স না হতেই মাথার চুল সব পেকে গেছে। অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার কারণ হচ্ছে চুলের পরিপূর্ণ যত্ন না নেওয়া। মানসিক টেনশন করা। পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া চুলে নিয়মিত তেল না ব্যবহার করা। সঠিকভাবে কোন তেল ব্যবহার করবেন কোন তেলে ভালো উপকার হবে । আর যে চুল পেকে গেছে সেই চুল কিভাবে কালো হয়ে যাবে। এই ব্যাপারে আলোচনা করছি। যেমন,
  • নারিকেল তেলের উপকারিতাঃ নাইকেল তেল চুলের জন্য কতটা উপকারী হয়তো আমরা সবাই জানি। পাকা চুল কালো করার জন্য নাইকেল তেলই যথেষ্ট। নারিকেল তেলের সাথে কারি পাতার গুড়া ভালোভাবে মিশিয়ে মাথায় চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। ভাবে লাগালে কিছুদিন পরে রেজাল্ট দেখতে পারবেন। আপনার যে পাকা চুল ছিল সব উধাও।
  • সরিষার তেলের উপকারিতাঃ সরিষার তেলের যেমন ঝাঁঝ তেমনি চুলের পরিপূর্ণ ভিটামিন সরবরাহ করে। পাকা চুল কালো করার জন্য নিয়মিত সরিষার তেল ব্যবহার করতে হবে।
  • অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতাঃ অলিভ অয়েল চুল পাকা কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই জন্য এই তেল নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। কারন এই তেলে আসে শক্তিশালী ভিটামিন ফসফেট আয়রন পটাশিয়াম। যা চুলের হরমোন ঠিক রাখে।
  • কদুর তেলের উপকারিতাঃ চুল পাকা থেকে মুক্তি পেতে কদুর তেলের উপকারিতা অনেক বেশি এজন্য সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন কদুর তেল ব্যবহার করতে হবে । এতে চুলের হরমোন ঘাটতি পূরণ করবে।
  • তিলের তেল উপকারিতাঃ চুল সুস্থ সবল রাখতে তিলের তেলের কার্যকারিতা অনেক বেশি। যা সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে। পাকা চুল ধীরে ধীরে কালো হয়ে যায়। তিলের তেলের সাথে গাজর এবং মেথি ভালো করে মিশিয়ে প্রতিদিন বা নিয়মিত চুলের ব্যবহার করলে। এতে চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। এবং চুলের রং নির্ধারিত মাপে থাকবে।
আরো পড়ুনঃ...

যে ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে

শরীরে পরিপূর্ণ ভিটামিন না থাকলে। কোন না কোন কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়। তার মধ্যে যেমন চুল পাকা। অল্প বয়সে চুল পেকে যায় শরীরে পরিপূর্ণ ভিটামিন না থাকলে। প্রতিদিন নিয়মিত ভিটামিন জাতীয় খাদ্য অবশ্যই সেবন করতে হবে। দেহ সুস্থসেবল থাকবে। কোন প্রকার রোগ বালা দেহের মধ্যে প্রবেশ করতে পারবে না। 
ছেলেদের-অল্প-বয়সে-চুল-পাকার-সমাধান

যে ভিটামিনের অভাবে চুল পাকে। ভিটামিন এ,ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, এবং কপার, আয়রন, জিংক্সের ইত্যাদি।

পাকা চুলের জন্য নারকেল তেল এবং লেবুর রস

 
নারকেল তেল এবং লেবুর রস চুলের জন্য অনেক পুষ্টি উপাদন করে। নারকেল তেল এবং লেবুর রস  নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘনো কালো ঝলমলে ও উজ্জ্বল হয়। তাছাড়া মাথার চামড়া সুরক্ষিত রাখে। এবং অকাল চুল পাকা থেকে রোধ করে। নারকেল তেল এবং লেবুর রস সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করতে হবে। 

কিছু দিন নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের পরিবর্তন দেখতে পারবেন। লেবুর রস ৩-৪ চামস এবং নারকেল তেল ৪-৫ চামস। চুলের গোঁড়ায় এবং মাথার চামড়ায় ভালো করে  লাগিয়ে রাখতে হবে। এই ভাবে কিছু দিন ব্যবহারে ফলে পাকা চুল কালো হয়ে যাবে। 

যে ভিটামিন চুল গজাতে সাহায্য করে
আমরা জানি দেহর প্রত্যেক অঙ্গ পতঙ্গের জন্য ভিটামিনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য মনে করি ভিটামিন ছাড়া দেহের কোন পরিবর্তন হয় না । আর চুল গজাতে চুলে পরিপূর্ণ পুষ্টি সরবরাহ করতে হবে। এজন্য ভিটামিন ডি ভিটামিন বি ভিটামিন সি আয়রন। 

এবং প্রাকৃতিক ভাবে যদি চুল লম্বা উজ্জ্বল শক্তিশালী করতে হয়। মেহেদির পাতা, পিয়েজ বাটা। নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে দেখতে পাবেন। চুলের গোড়া থেকে নতুন চুল গজাচ্ছে।

আরো পড়ুনঃ...

কত বছর পর্যন্ত চুল গজায়

চুল প্রত্যেক মানুষের বিভিন্ন হারে বৃদ্ধি পায় । চুল সঠিক নিয়মে বৃদ্ধি পেতে ভূমিকা রাখে বয়স। সাথে থাকে জেনেটিক্স। চুল  সাধারণত ত্বকের মধ্যে থেকে গজায়। চুলের গোড়া প্রোটিন কোষ দ্বারা গঠিত হয়। দেহর রক্তনালী প্রত্যেকটা শিরা  চুলে পরিপূর্ণ ভিটামিন পুষ্টি সরবরাহ করে। 

যার জন্য দেহের পরিবর্তনের সাথে সাথে চুলের পরিবর্তন হয়। বয়স নির্ধারিত করে চুল বাড়ে। চুল দ্রুত বাড়ে ১৫ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত। আবার এর মধ্যে অনেকে দেখা যায় বয়স কম থাকার ফলেও মাথার চুল হালকা এবং পাতলা হয়ে যায়।

এইসব ক্ষেত্রে হতে পারে চুলের যত্ন না নেওয়া চুল অবহেলার করে রাখা। চুল খুব দ্রুত বাড়ে যা হিসাব করে দেখা যায় মাসে  ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়।


শেষ কথাঃ ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান

চুল পাকা এমন একটি রোগ যা বয়স পরিপূর্ণ না হতে চুল পেকে সব সাদা হয়ে যায়। যাদের অল্প বয়সে চুল পেকে গিছে এবং পাকছে তারা অবশ্যই সঠিক নিয়মে পরিচর্যা করবেন এবং পরিপূর্ণ ভিটামিন জাতীয় খাদ্য খাবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবেন । টেনশন না করা বা না করলে ভালো। টেনশন ও চুল পাকা মূল কারণ।

এই আর্টিকেলটি পড়ে হয়তো সম্পূর্ণ বুঝতে পারলেন। ছেলেদের অল্প বয়সে চুল পাকার সমাধান সম্পর্কে। এতক্ষণ ধরে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ......।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কিউফুল ওয়েবসাইটতের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url